আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ বা সংবিধান সংস্কার বিষয়ক গণভোট একই দিনে আয়োজনের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অর্থাৎ, ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে দুটি ব্যালট পেপারে ভোট দেবেন—একটি এমপি নির্বাচনের জন্য এবং অন্যটি গণভোটের (হ্যাঁ/না) জন্য। নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ শুক্রবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এই তথ্য জানান।
নির্বাচনের তফসিল কবে ঘোষণা করা হবে এমন ইঙ্গিত দিয়ে তিনি জানিযেছেন, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি ভোটারদের জন্য ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ (Postal Vote BD) অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে কমিশন সচিব বলেন, প্রবাসীরা এখন আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অ্যাপের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।
যেহেতু একই সঙ্গে দুটি ভোট (সংসদ ও গণভোট) গ্রহণ করা হবে, তাই প্রতিটি ভোটারের কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখে ভোটের দিন ভোটগ্রহণের সময়সীমা বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে কমিশন বলেও জানান তিনি। এছাড়া বুথের সংখ্যাও বাড়ানো হতে পারে।
গণভোটে মূলত জানতে চাওয়া হবে—জনগণ ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংশোধনী) আদেশ, ২০২৫’ এবং এর সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর সঙ্গে একমত কি না। ভোটাররা ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ ভোট দিয়ে তাদের রায় জানাবেন।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে তারা সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
আখতার আহমেদ বলেন, তফসিলের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কেউ তারিখ জানালে নানা হিসাব-নিকাশ করে নিজ ইচ্ছায় ও দায়িত্বে তারিখ জানাচ্ছেন।
দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের কাছ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।
এছাড়া, তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সাক্ষাৎ পেতে চিঠি দিয়েছে ইসি। আগামী ১০ বা ১১ ডিসেম্বর এই সাক্ষাৎ পেতে গতকাল বৃহস্পতিবার এই চিঠি দেয় সংস্থাটি।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ইসির চিঠির জবাবে আগামী ১০ ডিসেম্বর বেলা ১২টায় এই সাক্ষাতের দিনক্ষণ ঠিক করেছেন বলে জানা গেছে।

