সংবাদ সম্মেলনে জুলাই মঞ্চ-এর আহ্বায়ক

স্টাফ রিপোর্টার

পতিত ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার আমলারা বহাল থাকা অবস্থায় বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হতে দিবো না বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই মঞ্চ-এর আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম তালুকদার।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযুক্ত ৪৪ জন সচিব এবং ৯৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট এর গ্রেপ্তারপূর্বক বিচার এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফ্যাসিস্ট আমলা চক্রের সদস্যদের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে জুলাই মঞ্চ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা যে ৪৪ জন সচিবের তালিকা দিয়েছিলাম, তা থেকে মাত্র পাঁচজনকে অপসারণ করা হয়েছে। বাকি ৩৯ জনসহ ফ্যাসিবাদী আমলাদের অপসারণ না করা পর্যন্ত বাংলাদেশে আমরা নির্বাচন হতে দেবো না। আমরা বিশ্বাস করি, এই আমলারা আগামী নির্বাচনটাও দিল্লির হয়ে করে দেবে।
বাংলাদেশে এখনো ৯০ ভাগ আমলা হাসিনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সচিবালয়ে আমরা যখন ফ্যাসিবাদী আমলাদের বিষয়গুলো তুলে ধরেছি, তখন একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাই আমাকে বলেছেন যে তারা অসহায়। তিনি স্বীকার করেছেন যে প্রায় ৯০ ভাগ কর্মকর্তাই এখনও শেখ হাসিনার সমর্থক এবং আওয়ামী লীগের লোক। তারা ৯০ জন ঐক্যবদ্ধ, আর আমরা ১০ জন বিভিন্নভাবে বিভক্ত। এভাবে আমরা তাদের সাথে কিভাবে পারবো?
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের ‘অভিজ্ঞতাহীন’ ও ‘অসহায়’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, উপদেষ্টারা অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন। এনজিও কর্মী দিয়ে সরকার চলে না, সরকার চালাতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব লাগে। উপদেষ্টারা কোনো সিদ্ধান্ত নিলে আমলা চক্র তা ঘুরিয়ে দেয়।
তিনি রাষ্ট্রের সব স্তম্ভের আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, আমাদের উপদেষ্টাদের বডিগার্ড শেখ হাসিনার নিয়োগ করা, সেনাপ্রধান শেখ হাসিনার নিয়োগ করা, রাষ্ট্রপতি শেখ হাসিনার লোক, পুলিশ বাহিনী, বিচার বিভাগ এবং অধিকাংশ মিডিয়ার মালিকও চূড়ান্তভাবে শেখ হাসিনার লোক। বিপ্লবের পরে নতুন কোনো সেটআপ গঠন করতে পারেনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
‘খুনি হাসিনা’কে সেফ এক্সিট দেওয়া হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, যখন জাতিসংঘ থেকে বলা হলো যে ছাত্রদের আন্দোলন দমন করলে শান্তি মিশন নিয়ে চিন্তা করা হবে, তখন তারা দেখলো যে -শেখ হাসিনাকে আর রাখা সম্ভব না। তাই একটি ‘সেফ এক্সিট’ দরকার ছিল। সেই সেফ এক্সিট করার মাধ্যমে ক্ষমতাটা মূলত শেখ হাসিনার হাতেই রাখতে হবে। এজন্য দরকার ছিল একটা অথর্ব উপদেষ্টা পরিষদ, যা করতে তারা শতভাগ সফল হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে পতিত শেখ হাসিনার ও আধিপত্যবাদীদের নিয়ন্ত্রণ বিদ্যমান।
এসময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে চারটি প্রশ্ন করে জুলাই মঞ্চ। প্রশ্নগুলো হলো -দেশ কী হাসিনার আমলাই চালাবে? আগামী নির্বাচন কী হাসিনার নিয়ন্ত্রণেই হবে? সচিবালয় কী হাসিনামুক্ত হবে না? জুলাই গণহত্যাকারী আমলাদের কী বিচার হবে না?
সংবাদ সম্মেলনে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন হাসিবুল ইসলাম তন্ময়, তাহসান ইসলাম, রাব্বি তালুকদার ও ওয়ালিদ বিন তালুকদার প্রমুখ।

পতিত ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার আমলারা বহাল থাকা অবস্থায় বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হতে দিবো না বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই মঞ্চ-এর আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম তালুকদার।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযুক্ত ৪৪ জন সচিব এবং ৯৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট এর গ্রেপ্তারপূর্বক বিচার এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফ্যাসিস্ট আমলা চক্রের সদস্যদের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে জুলাই মঞ্চ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা যে ৪৪ জন সচিবের তালিকা দিয়েছিলাম, তা থেকে মাত্র পাঁচজনকে অপসারণ করা হয়েছে। বাকি ৩৯ জনসহ ফ্যাসিবাদী আমলাদের অপসারণ না করা পর্যন্ত বাংলাদেশে আমরা নির্বাচন হতে দেবো না। আমরা বিশ্বাস করি, এই আমলারা আগামী নির্বাচনটাও দিল্লির হয়ে করে দেবে।
বাংলাদেশে এখনো ৯০ ভাগ আমলা হাসিনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সচিবালয়ে আমরা যখন ফ্যাসিবাদী আমলাদের বিষয়গুলো তুলে ধরেছি, তখন একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাই আমাকে বলেছেন যে তারা অসহায়। তিনি স্বীকার করেছেন যে প্রায় ৯০ ভাগ কর্মকর্তাই এখনও শেখ হাসিনার সমর্থক এবং আওয়ামী লীগের লোক। তারা ৯০ জন ঐক্যবদ্ধ, আর আমরা ১০ জন বিভিন্নভাবে বিভক্ত। এভাবে আমরা তাদের সাথে কিভাবে পারবো?
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের ‘অভিজ্ঞতাহীন’ ও ‘অসহায়’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, উপদেষ্টারা অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন। এনজিও কর্মী দিয়ে সরকার চলে না, সরকার চালাতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব লাগে। উপদেষ্টারা কোনো সিদ্ধান্ত নিলে আমলা চক্র তা ঘুরিয়ে দেয়।
তিনি রাষ্ট্রের সব স্তম্ভের আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, আমাদের উপদেষ্টাদের বডিগার্ড শেখ হাসিনার নিয়োগ করা, সেনাপ্রধান শেখ হাসিনার নিয়োগ করা, রাষ্ট্রপতি শেখ হাসিনার লোক, পুলিশ বাহিনী, বিচার বিভাগ এবং অধিকাংশ মিডিয়ার মালিকও চূড়ান্তভাবে শেখ হাসিনার লোক। বিপ্লবের পরে নতুন কোনো সেটআপ গঠন করতে পারেনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
‘খুনি হাসিনা’কে সেফ এক্সিট দেওয়া হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, যখন জাতিসংঘ থেকে বলা হলো যে ছাত্রদের আন্দোলন দমন করলে শান্তি মিশন নিয়ে চিন্তা করা হবে, তখন তারা দেখলো যে -শেখ হাসিনাকে আর রাখা সম্ভব না। তাই একটি ‘সেফ এক্সিট’ দরকার ছিল। সেই সেফ এক্সিট করার মাধ্যমে ক্ষমতাটা মূলত শেখ হাসিনার হাতেই রাখতে হবে। এজন্য দরকার ছিল একটা অথর্ব উপদেষ্টা পরিষদ, যা করতে তারা শতভাগ সফল হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে পতিত শেখ হাসিনার ও আধিপত্যবাদীদের নিয়ন্ত্রণ বিদ্যমান।
এসময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে চারটি প্রশ্ন করে জুলাই মঞ্চ। প্রশ্নগুলো হলো -দেশ কী হাসিনার আমলাই চালাবে? আগামী নির্বাচন কী হাসিনার নিয়ন্ত্রণেই হবে? সচিবালয় কী হাসিনামুক্ত হবে না? জুলাই গণহত্যাকারী আমলাদের কী বিচার হবে না?
সংবাদ সম্মেলনে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন হাসিবুল ইসলাম তন্ময়, তাহসান ইসলাম, রাব্বি তালুকদার ও ওয়ালিদ বিন তালুকদার প্রমুখ।

উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশে বৈষম্যমূলক কমিশন গঠনে সহায়ক এবং প্রতিষ্ঠানটিকে স্বাধীন ও কার্যকরভাবে কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ঝুঁকি রয়েছে, এমন সব ধারাসমূহ অব্যাহত থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
২ ঘণ্টা আগে
নতুন ও সম্ভাবনাময় স্টার্টআপদের আইডিয়া প্রকল্পের কো-ওয়ার্কিং স্পেস ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
৯ ঘণ্টা আগে
বৈঠকে অমর একুশে বইমেলা ২০২৬-এর সময়-নির্ধারণ বিষয়ে সমিতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি কয়েকটি সম্ভাব্য সময়ের কথা বলে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থার পরামর্শও পর্যালোচনা করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে একযোগে মাঠে নামার নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
৯ ঘণ্টা আগে