অর্থনৈতিক রিপোর্টার
৮৪.৮১% নাগরিক সন্ধ্যার পর নিজ এলাকার আশপাশে একা চলাফেরা করতে নিরাপদ বোধ করেন। রাজনৈতিক প্রভাব বিষয়ের ক্ষেত্রে মাত্র ২৭.২৪% নাগরিক মনে করেন, তারা দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সরকারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করতে পারেন।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত সিটিজেন পারসেপশন সার্ভেতে (সিপিএস) এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এ জরিপটি বিবিএস ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সময়ে দেশব্যাপী 'সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস)' পরিচালনা করে। ৬৪ জেলার ১ হাজার ৯২০টি প্রাইমারি স্যাম্পলিং ইউনিট (পিএসএল) থেকে ৪৫ হাজার ৮৬৮টি থানায় ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী মোট ৮ লাখ ৩১হাজার ৮০৭জন নারী-পুরুষ উত্তরদাতার সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জরিপে নাগরিকদের দৃষ্টিভলি ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিরাপত্তা, সুশাসন, সরকারি সেবার মান, দুর্নীতি, ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার এবং বৈষম্য বিষয়ক এসডিজি ১৬ এর ছয়টি সূচকের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয়েছে। জরিপের প্রশ্নপত্র জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত এ জরিপ থেকে এসডিজি ১৬ এর ৬টি সূচকের তথ্য পাওয়া যাবে।
নিরাপত্তা বিষয়ে জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায় যে, ৮৪.৮১% নাগরিক সন্ধ্যার পর নিজ এলাকার আশপাশে একা চলাফেরা করতে নিরাপদ বোধ করেন। তবে, পুরুষদের (৮৯.৫৩%) তুলনায় নারীরা (৮০.৬৭%) কম নিরাপদ বোধ করেন। শহরাঞ্চলের নাগরিকদের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ (৮৩.৭৫%) গ্রামীণ এলাকার নাগরিকদের তুলনায় কিছুটা কম (৮৫.৩০%) পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া সন্ধ্যার পর নিজ বাড়িতে নগিরিকদের নিরাপত্তাবোধের হার ৯২.৫৪%, যা নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ১১.৮২% ও ৯০.০৫%।
রাজনৈতিক প্রভাব বিষয়ের ক্ষেত্রে ২৭.২৪% নাগরিক মনে করেন যে, তারা দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সরকারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করতে পারেন। এক্ষেত্রে শহর (২৭.৮৭%) ও গ্রাম (২৬.৯৪%) এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য না থাকলেও, লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্য রয়েছে যা পুরুষের ক্ষেত্রে ৩১.৮৬% এবং নারীর ক্ষেত্রে ২৩.০২%। অনুরূপভাবে ২১.১৯% নাগরিক মনে করেন যে, তারা দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন মর্মে মত প্রকাশ করেন। এই হার নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ১৭.৮১% ও ২৬.৫৫%।
সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ৪৭.১২% নাগরিক গত ১ বছরের মধ্যে অন্তত ১ বার সরকারি স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা গ্রহণ করেছেন। সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৮২.৭২% নাগরিকের মতে উক্ত স্বাস্থ্যসেবা সহজে প্রাপ্তিযোগ্য এবং স্বাস্থ্যসেবার খরচ সামর্থ্যের মধ্যে ছিল মর্মে ৮৯.৩৪% নাগরিক মত প্রকাশ করেন। এক্ষেত্রে, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মান, সেবাগ্রহীতার সাথে আচরণ এবং ডাক্তার/স্বাস্থ্যকর্মীদের সময় দেয়ার বিষয়ে সেবা গ্রহণকারীদের সন্তুষ্টির হার যথাক্রমে ৬৫.০৭%, ৬৩.১০% এবং ৬৩.১৯%।
শিক্ষা ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ৪০.৯৩% নাগরিকের কমপক্ষে একটি শিশু সরকারি প্রাথমিক/মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন। এরমধ্যে, ৯৬.৪৬% নাগরিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহজে প্রবেশযোগ্য (যে কোনো ধরনের যানবাহনে বা পায়ে হেঁটে ৩০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছানো যায়) ও ৯২.৬৬% নাগরিক রিপোর্ট করেন যে শিক্ষাব্যয় সামর্থ্যের মধ্যে ছিল, যেখানে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ হার যথাক্রমে ৮২.২০% ও ৮০.৮৬%। অপরদিকে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান মানসম্মত ছিল মর্মে যথাক্রমে ৬৭.৯৩% ও ৭১.৮৬% নাগরিক মত প্রকাশ করেন।
অন্যান্য সরকারি সেবার (পরিচয়পত্র/নাগরিক নিবন্ধন) ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৭৮.১২% সেবার প্রাপ্যতা ও ৮৬.২৮% সেবাপ্রাপ্তি ব্যয় সামর্থ্যের মধ্যে ছিল মর্মে উল্লেখ করেন। অপরদিকে, কার্যকর সেবাদান প্রক্রিয়া, সম-আচরণ, সময়মতো সেবাদানে সন্তুষ্টির হার যথাক্রমে ৬২.৬০%, ৫৬.২৬% ও ৫১.২৮%।
সরকারি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে ঘুষ-দুর্নীতি বিষয়ে দেখা যায় যে, গত ১ বছরে যে সকল নাগরিক সরকারি সেবা গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে ৩১.৬৭% নাগরিক ঘুষ-দুর্নীতির শিকার হয়েছেন মর্মে রিপোর্ট করেছেন, যেখানে পুরুষ ৩৮.৬২% এবং নারী ২২.৭১%। সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে নাগরিকদের সর্বাধিক ঘুষ-দুর্নীতির শিকার হওয়া প্রতিষ্ঠানসমূহ যথাক্রমে বিআরটিএ (৬৩.২৯%), আইন প্রয়োগকারী সংস্থা (৬১.৯৪%), পাসপোর্ট অফিস (৫৭.৪৫%) ও ভূমি রেজিস্ট্রি অফিস (৫৪.৯২%)।
গত দুই বছরে ১৬.১৬% নাগরিক কোনো না কোনো বিবাদ বা বিরোধের মুখোমুখি হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৮৩.৬০% নাগরিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আনুষ্ঠানিক অথবা অনানুষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার পেয়েছেন। এর মধ্যে ৪১.৩৪% আনুষ্ঠানিক (যেমন: আদালত, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ইত্যাদি) প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এবং ৬৮.৯৬% অনানুষ্ঠানিক (যেমন: কমিউনিটি নেতা, আইনজীবী ইত্যাদি) প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেবা পেয়েছেন।
জরিপে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, গত ১ বছরে দেশের ১৯.৩১% জনগণ কোনো না কোনো ধরনের বৈষম্য বা হয়রানির শিকার হয়েছেন। নারীদের মধ্যে এই হার কিছুটা বেশি যা ১৯.৬২%, যেখানে পুরুষদের মধ্যে তা ১৮.৯৭%। শহরাঞ্চলে বৈষম্যের হার (২২.০১%) গ্রামাঞ্চলের (১৮.০৭%) তুলনায় বেশি। এক্ষেত্রে আর্থ-সামাজিক অবস্থা (৬.৮২%) এবং লিঙ্গভেদে (৪.৪৭%) বৈষম্য হয়রানির হার সর্বাধিক। নিজের পরিবারের মধ্যে (৪৮.৪৪%), গণপরিবহন/উন্মুক্ত স্থানে (৩১.৩০%) এবং কর্মস্থলে (২৫.৯৭%) বৈষমা/হয়রানির ঘটনা সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়। এরমধ্যে মাত্র ৫.৩৫% ভুক্তভোগী এসব ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট করেছেন।
৮৪.৮১% নাগরিক সন্ধ্যার পর নিজ এলাকার আশপাশে একা চলাফেরা করতে নিরাপদ বোধ করেন। রাজনৈতিক প্রভাব বিষয়ের ক্ষেত্রে মাত্র ২৭.২৪% নাগরিক মনে করেন, তারা দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সরকারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করতে পারেন।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত সিটিজেন পারসেপশন সার্ভেতে (সিপিএস) এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এ জরিপটি বিবিএস ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সময়ে দেশব্যাপী 'সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস)' পরিচালনা করে। ৬৪ জেলার ১ হাজার ৯২০টি প্রাইমারি স্যাম্পলিং ইউনিট (পিএসএল) থেকে ৪৫ হাজার ৮৬৮টি থানায় ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী মোট ৮ লাখ ৩১হাজার ৮০৭জন নারী-পুরুষ উত্তরদাতার সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জরিপে নাগরিকদের দৃষ্টিভলি ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিরাপত্তা, সুশাসন, সরকারি সেবার মান, দুর্নীতি, ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার এবং বৈষম্য বিষয়ক এসডিজি ১৬ এর ছয়টি সূচকের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয়েছে। জরিপের প্রশ্নপত্র জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত এ জরিপ থেকে এসডিজি ১৬ এর ৬টি সূচকের তথ্য পাওয়া যাবে।
নিরাপত্তা বিষয়ে জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায় যে, ৮৪.৮১% নাগরিক সন্ধ্যার পর নিজ এলাকার আশপাশে একা চলাফেরা করতে নিরাপদ বোধ করেন। তবে, পুরুষদের (৮৯.৫৩%) তুলনায় নারীরা (৮০.৬৭%) কম নিরাপদ বোধ করেন। শহরাঞ্চলের নাগরিকদের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ (৮৩.৭৫%) গ্রামীণ এলাকার নাগরিকদের তুলনায় কিছুটা কম (৮৫.৩০%) পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া সন্ধ্যার পর নিজ বাড়িতে নগিরিকদের নিরাপত্তাবোধের হার ৯২.৫৪%, যা নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ১১.৮২% ও ৯০.০৫%।
রাজনৈতিক প্রভাব বিষয়ের ক্ষেত্রে ২৭.২৪% নাগরিক মনে করেন যে, তারা দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সরকারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করতে পারেন। এক্ষেত্রে শহর (২৭.৮৭%) ও গ্রাম (২৬.৯৪%) এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য না থাকলেও, লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্য রয়েছে যা পুরুষের ক্ষেত্রে ৩১.৮৬% এবং নারীর ক্ষেত্রে ২৩.০২%। অনুরূপভাবে ২১.১৯% নাগরিক মনে করেন যে, তারা দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন মর্মে মত প্রকাশ করেন। এই হার নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ১৭.৮১% ও ২৬.৫৫%।
সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ৪৭.১২% নাগরিক গত ১ বছরের মধ্যে অন্তত ১ বার সরকারি স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা গ্রহণ করেছেন। সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৮২.৭২% নাগরিকের মতে উক্ত স্বাস্থ্যসেবা সহজে প্রাপ্তিযোগ্য এবং স্বাস্থ্যসেবার খরচ সামর্থ্যের মধ্যে ছিল মর্মে ৮৯.৩৪% নাগরিক মত প্রকাশ করেন। এক্ষেত্রে, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মান, সেবাগ্রহীতার সাথে আচরণ এবং ডাক্তার/স্বাস্থ্যকর্মীদের সময় দেয়ার বিষয়ে সেবা গ্রহণকারীদের সন্তুষ্টির হার যথাক্রমে ৬৫.০৭%, ৬৩.১০% এবং ৬৩.১৯%।
শিক্ষা ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ৪০.৯৩% নাগরিকের কমপক্ষে একটি শিশু সরকারি প্রাথমিক/মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন। এরমধ্যে, ৯৬.৪৬% নাগরিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহজে প্রবেশযোগ্য (যে কোনো ধরনের যানবাহনে বা পায়ে হেঁটে ৩০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছানো যায়) ও ৯২.৬৬% নাগরিক রিপোর্ট করেন যে শিক্ষাব্যয় সামর্থ্যের মধ্যে ছিল, যেখানে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ হার যথাক্রমে ৮২.২০% ও ৮০.৮৬%। অপরদিকে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান মানসম্মত ছিল মর্মে যথাক্রমে ৬৭.৯৩% ও ৭১.৮৬% নাগরিক মত প্রকাশ করেন।
অন্যান্য সরকারি সেবার (পরিচয়পত্র/নাগরিক নিবন্ধন) ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৭৮.১২% সেবার প্রাপ্যতা ও ৮৬.২৮% সেবাপ্রাপ্তি ব্যয় সামর্থ্যের মধ্যে ছিল মর্মে উল্লেখ করেন। অপরদিকে, কার্যকর সেবাদান প্রক্রিয়া, সম-আচরণ, সময়মতো সেবাদানে সন্তুষ্টির হার যথাক্রমে ৬২.৬০%, ৫৬.২৬% ও ৫১.২৮%।
সরকারি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে ঘুষ-দুর্নীতি বিষয়ে দেখা যায় যে, গত ১ বছরে যে সকল নাগরিক সরকারি সেবা গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে ৩১.৬৭% নাগরিক ঘুষ-দুর্নীতির শিকার হয়েছেন মর্মে রিপোর্ট করেছেন, যেখানে পুরুষ ৩৮.৬২% এবং নারী ২২.৭১%। সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে নাগরিকদের সর্বাধিক ঘুষ-দুর্নীতির শিকার হওয়া প্রতিষ্ঠানসমূহ যথাক্রমে বিআরটিএ (৬৩.২৯%), আইন প্রয়োগকারী সংস্থা (৬১.৯৪%), পাসপোর্ট অফিস (৫৭.৪৫%) ও ভূমি রেজিস্ট্রি অফিস (৫৪.৯২%)।
গত দুই বছরে ১৬.১৬% নাগরিক কোনো না কোনো বিবাদ বা বিরোধের মুখোমুখি হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৮৩.৬০% নাগরিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আনুষ্ঠানিক অথবা অনানুষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার পেয়েছেন। এর মধ্যে ৪১.৩৪% আনুষ্ঠানিক (যেমন: আদালত, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ইত্যাদি) প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এবং ৬৮.৯৬% অনানুষ্ঠানিক (যেমন: কমিউনিটি নেতা, আইনজীবী ইত্যাদি) প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেবা পেয়েছেন।
জরিপে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, গত ১ বছরে দেশের ১৯.৩১% জনগণ কোনো না কোনো ধরনের বৈষম্য বা হয়রানির শিকার হয়েছেন। নারীদের মধ্যে এই হার কিছুটা বেশি যা ১৯.৬২%, যেখানে পুরুষদের মধ্যে তা ১৮.৯৭%। শহরাঞ্চলে বৈষম্যের হার (২২.০১%) গ্রামাঞ্চলের (১৮.০৭%) তুলনায় বেশি। এক্ষেত্রে আর্থ-সামাজিক অবস্থা (৬.৮২%) এবং লিঙ্গভেদে (৪.৪৭%) বৈষম্য হয়রানির হার সর্বাধিক। নিজের পরিবারের মধ্যে (৪৮.৪৪%), গণপরিবহন/উন্মুক্ত স্থানে (৩১.৩০%) এবং কর্মস্থলে (২৫.৯৭%) বৈষমা/হয়রানির ঘটনা সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়। এরমধ্যে মাত্র ৫.৩৫% ভুক্তভোগী এসব ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট করেছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বুধবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তিনটি কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এ তিনটি কনভেনশন অনুসমর্থন
৮ মিনিট আগেভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় ভূরুঙ্গামারী, থানচি ও মেহেরপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন গঠন করা হচ্ছে। এই তিন ব্যাটালিয়নসহ বিজিবির জন্য মোট ২ হাজার ২৫৮টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সীমান্ত-১ শাখা থেকে মঙ্গলবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেপরে অন্য সিনিয়র রিপোর্টারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এ্যানি। এ সময় আমার দেশ-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, ভারপ্রাপ্ত চিফ রিপোর্টার বাছির জামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিন দ্বীপে নৌযান চলাচলের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। বুধবার মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগে