মেঘনা গ্রুপের অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্তে দুদক

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৩: ০৫
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৩: ২৪

মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের বিরুদ্ধে ৮০ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের অভিযোগ তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি তদন্ত দল গঠন করেছে। কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে গত ৮ এপ্রিল একটি পত্র জারি করে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

পত্রে বলা হয়, কমিশনের অনুমোদনের ভিত্তিতে উপপরিচালক আহসানুল কবির পলাশকে দলনেতা করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। অন্যান্য সদস্যরা হলেন— সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক ও নিজাম উদ্দিন।

পত্রে আরো বলা হয়, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় কর্তৃক উপস্থাপিত সুপারিশের ভিত্তিতে এবং কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলটি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে কমিশনকে অবহিত রাখার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

Meghna-Group-Mostafa-Kamal2

তদন্ত দল গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপপরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত-১) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন।

উল্লেখ্য, মেঘনা গ্রুপের বিরুদ্ধে বিশাল অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগ ওঠায় এটি এখন দেশের অন্যতম আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে। দুদকের তদন্তের ফলাফল কী হয়, তা দেশের অর্থনৈতিক খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মেঘনা গ্রুপের মালিক মোস্তফা কামাল, তার স্ত্রী বিউটি আক্তার এবং তাদের সন্তানের ব্যাংক হিসাবও ইতোমধ্যে জব্দ করা হয়েছে। গত ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। পাশাপাশি তাদের একক নামে পরিচালিত কোনো প্রতিষ্ঠান থাকলে তার হিসাবও জব্দ করতে বলা হয়েছে।

মেঘনা গ্রুপের ৫৫টি প্রতিষ্ঠানে ৩১টি ব্যাংক ও ৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ১৬ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা। সন্দেহ করা হচ্ছে ব‍্যাংকের বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করা হয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত