যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীদের মুখোমুখি অনুষ্ঠান

জাতীয় স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার রাজনীতিবিদদের

এম এ নোমান, নিউ ইয়র্ক থেকে
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯: ৩৫
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯: ৩৯

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতির পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই যোদ্ধারা দেশ গঠনে আমাদের যে সুযোগ করে দিয়েছেন, তা কাজে লাগাতে হবে। আমরা যাতে দেশকে কারো কাছে বন্ধক (মরগেজ) না দেই, যেটা পতিত স্বৈরাচার সরকার করেছিল।

বিজ্ঞাপন

নিউইয়র্কের হোটেল মেরিয়টে স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে আয়োজিত ‘এনআরবি কানেক্ট ডে : এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশিজ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতাদের অভিন্ন বক্তব্য ছিলো— আমাদের মাঝে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা থাকবে। কিন্তু দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও উন্নয়ন-অগ্রগতির স্বার্থে আমরা একসঙ্গে কাজ করবো। জুলাই বিপ্লবে দেশের সব মানুষ অংশ নিয়েছিলেন একটি কাঙ্ক্ষিত মানের পরিবর্তনের বুকভরা আশা নিয়ে। তাদের সে আশার মূল্য দিতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের বাংলাদেশের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বর্ণনা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা সবসময়ই দেশের উন্নয়নে আপনাদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করার উপায় খুঁজে বের করার পরিকল্পনা নিয়েছি। তিনি বলেন, এই সফরে রাজনৈতিক নেতারা যোগ দেওয়ায় আমাদের আত্মবিশ্বাস আরো বেড়ে গেছে।

Younus-2

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের উপস্থাপনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। তিনি জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে গত ১৫ মাসে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি রেমিট্যান্সে ২১ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য প্রবাসীদের প্রশংসা করেন এবং বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারি উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। তিনি প্রবাসীদের অব্যাহত সমর্থন কামনা করেন এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত পরিকল্পিত সাধারণ নির্বাচনে ভোটদান পদ্ধতি সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফী সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলসহ তিনজন প্যানেলিস্টের একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রবাসীরা বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের কাছে জানতে চান।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং জাতীয় নাগরিক দলের সদস্য-সচিব আখতার হোসেন অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জন্য তাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আবেগঘন বক্তব্য রাখেন। তারা আগামী দিনে দেশের প্রতি তাদের অঙ্গীকার তুলে ধরেন।

পরে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ‘শেপিং টুমরো : দ্য ফিউচার অফ বাংলাদেশ’ শীর্ষক আরেকটি প্যানেল আলোচনার সঞ্চালনা করেন। এনসিপি নেতা ডা. তাসনিম জারা, বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির এবং জামায়াত নেতা নাকিবুর রহমান প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন।

প্রধান উপদেষ্টা শুভেচ্ছা নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনও চালু করেন, যা প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা, নির্দেশনা এবং বিনিয়োগের সুযোগ প্রদানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত