আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বাংলাদেশের তরুণ নেতৃত্বনির্ভর সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা ওএবি ফাউন্ডেশন অর্জন করেছে এক গৌরবময় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। ভিএসও এবং ইউকে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কর্তৃক প্রদত্ত ইয়ুথ ক্লাইমেট স্মল গ্র্যান্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫-এ ঢাকা বিভাগে বিজয়ী হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব নবাব আলী সিনেট ভবনে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ আয়োজনে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উপলক্ষে এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
পুরস্কৃত প্রকল্প ‘হলোগার্ডেন ঢাকা: বাংলাদেশের প্রথম হোলোগ্রাম-ভিত্তিক জলবায়ু শিক্ষা ইনস্টলেশন’ ইতোমধ্যেই দেশের জলবায়ু শিক্ষা ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক উদ্ভাবন হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে। অত্যাধুনিক হোলোগ্রাম প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও তরুণদের জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে আধুনিক, আকর্ষণীয় ও ইন্টারঅ্যাকটিভ শেখার সুযোগ প্রদান করবে এই ইনস্টলেশন।
২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ওএবি ফাউন্ডেশন সারা দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, নারী ও শিশু অধিকার, পরিবেশ সংরক্ষণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নবিষয়ক নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে। সংগঠনের মূল ট্যাগলাইন: ‘ফর আ জাস্ট, গ্রিন, অ্যান্ড সাসটেইনেবল বাংলাদেশ’।
তরুণ নেতৃত্ব বিকাশ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
ওএবি ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার ও প্রেসিডেন্ট আসাদুজ্জামান তুহিন বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক অর্জন। প্রথমবারের মতো কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ওএবি ফাউন্ডেশন প্রোজেক্ট পিচ জমা দিয়ে সফলভাবে ঢাকা বিভাগের বিজয়ী হয়েছে। আগামী বছরে ওএবি আরো নতুন ও উদ্ভাবনধর্মী প্রকল্প নিয়ে কাজ করবে, যা জলবায়ু শিক্ষা ও সবুজ ভবিষ্যৎ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর (আইডিয়া অ্যান্ড ইনোভেশন) ফারজানা আক্তার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের এই সংকটময় সময়ে ‘হলোগার্ডেন ঢাকা’ একটি অত্যন্ত সময়োপযোগী উদ্যোগ। এটি দেশের জলবায়ু শিক্ষায় নতুন মানদণ্ড তৈরি করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তরুণদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে এই প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা পদ্ধতি বড় ভূমিকা রাখবে এবং জলবায়ু সচেতন প্রজন্ম গঠনের পথ আরও সুগম করবে।’
ওএবি ফাউন্ডেশন জানায়, এই অর্জন তাদের সকল স্বেচ্ছাসেবক, অংশীদার, উপদেষ্টা এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। আগামী দিনে প্রতিষ্ঠানটি জলবায়ু শিক্ষা, সবুজ প্রযুক্তি উদ্ভাবন, নেতৃত্ব গঠন এবং কমিউনিটি উন্নয়ন—এই চারটি অগ্রাধিকারের উপর ভিত্তি করে বৃহত্তর পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা করছে।

