এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৫

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০১: ২৭
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩: ০০

রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ৫ টি ককটেল মারা হয় যার মধ্যে ১ টি বিস্ফোরিত হয়নি। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। এবং এক যুবককে গণধোলাই দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে আটককৃতদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, ​রাত ১০টা ৫৫ মিনিট থেকে ১১টার দিকে বাংলামোটরের রূপায়ণ টাওয়ার সংলগ্ন এনসিপি’র অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এনসিপি এক বার্তায় জানিয়েছে, রাত ১১টায় তাদের কার্যালয়ের সামনে পাঁচটি ককটেল মারা হয়, যার মধ্যে চারটি বিস্ফোরিত হয় এবং একটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় ছিল। ককটেল নিক্ষেপকারীরা মোটরসাইকেলে করে পালানোর চেষ্টা করলে এনসিপি'র নেতা-কর্মীরা ধাওয়া করে দুজনকে ধরে ফেলে। পরে সন্দেহভাজন আরও তিনজনের সাথে মোট পাঁচজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অবিস্ফোরিত ককটেলটি নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা শুরু হয়।

পুলিশের রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অরূপ জানান, ককটেল বিস্ফোরণের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে এবং ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

এদিকে, ককটেল হামলার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বাংলামোটর রূপায়ণ টাওয়ারের সামনে মো: মাসুদুর রহমান (২৮) নামে এক যুবককে গণধোলাই দেয় জনতা। জানা যায়, মোটরসাইকেলযোগে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালানোর সময় জনতা তাকে ধরে ফেলে।

​আহত মাসুদুর রহমানকে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদ উদ্ধার করে রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, মাসুদুর রহমানকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মাসুদুর রহমান মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার বাসিন্দা এবং বর্তমানে রামপুরার দক্ষিণ বনশ্রীতে থাকতেন।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত