সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বিপ্লব কুমার, প্রলয় কুমার জোয়ারদার, তেজগাঁও থানার সাবেক ওসি অপূর্ব হাসানসহ বিভিন্ন পদ মর্যাদার ৪০ জন পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে। পদক প্রত্যাহারের পাশাপাশি পদকের বিপরীতে যে পরিমাণ অর্থ নিয়েছেন ওই কর্মকর্তারা,তাও ফেরত দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত ৭ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেয়া হয়। এই তালিকায় রয়েছে র্যাবের কিলার হিসেবে পরিচিত ফরিদ উদ্দিন খান, রয়েছে ‘গুলি করি মরে একটা, বাকিডি যায় না’ বলা পুলিশ কর্মকর্তা ইকবাল হোসাইন, জঙ্গী নাটকের মাধ্যমে তরুণ-তরুণীদের হত্যায় অভিযুক্ত আরিফুর রহমান মন্ডল। এই ৪০ কর্মকর্তা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম। বিপিএম (বার), পিপিএম পুরস্কার দেয় হাসিনা সরকার। ভাতের হোটেলখ্যাত মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ নিয়েছেন বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। চট্টগ্রাম রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি নূরে আলম মিনাও বিপিএম, পিপিএম-সেবা পদক দেয়া হয়েছিলা। আলেমদের দমনে সিদ্ধহস্ত ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা নিয়েছেন। বিএনপি অফিসে হামলাসহ বিএনপি-জামায়াতের ওপর ক্র্যাকডাউনে উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তা এস, এম, মেহেদী হাসাানেরও ছিলো বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
কর্মকর্তাদের আরো রয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতি ক্ষমতাবান প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম (বার)- পিপিএম, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জিত কুমার রায়, পিপিএম-সেবা, মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, বিপিএম-সেবা, পিপিএম-সেবা, শ্যামল কুমার মুখার্জী, পিপিএম-সেবা, রিফাত রহমান শামীম, পিপিএম-সেবা, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, পিপিএম-সেবা, সুদীপ চক্রবর্তী, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীর ছোট ভাই গোলাম রুহানী (সহকারী পুলিশ সুপার), ডিবি হারুনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাহাঙ্গীর হাছান, বিখ্যাত ওসি বি এম ফরমান আলী, দেশের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের ওপর টর্চার করে নিজের ক্ষমতা জাহির করে আলোচনায় আসা অপূর্ব হাসান (পিপিএম-সেবা)।
কর্মস্থল থেকে পলায়ন করায় এই ৪০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তৌছিফ আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।

