ফ্যাসিবাদের দোসর বাজুসের সহ-সভাপতি রিপনুল হাসানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
গত আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রিপনুল হাসানের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়। সেই মামলায় বুধবার সন্ধ্যায় তাকে নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। এরপর তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। রিপনুল হাসান আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
জুয়েলারি শিল্পমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বুধবার রাতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট কর্মসূচি ঘোষণা করে। সংগঠনটি জানিয়েছে, সমিতির সহ-সভাপতি রিপনুল হাসানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাজুসের সহ-সভাপতি রিপনুল হাসানকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় রাজধানীর তাঁতীবাজারের নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশের সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা রাশেদ জানান, বুধবার রাতের ঘোষিত কর্মসূচির আলোকে সারা দেশে সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে।

