আমার দেশ অনলাইন
আওয়ামী সরকারের রোষানলে পড়ে গত ১৫ বছর চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল জামায়াতে ইসলামী। ফ্যাসিবাদের দমননীতিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্ন হওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও একচেটিয়া অপপ্রচারের শিকার হয় দলটি। জুলাই বিপ্লবে স্বৈরাচার পতনের মধ্য দিয়ে দলটির পুনর্জাগরণ ঘটে। দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হওয়ার পর দলটির কার্যক্রম জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দ্রুতই আলোচনায় চলে আসে। এমনকি আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনরায় পেলে সরকার গঠনেরও মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।
এমন প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুনরায় সম্পর্ক জোরদার করছে জামায়াত। এর অংশ হিসেবে ঢাকায় নিয়োজিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে একের পর এক মতবিনিময় করছেন দলের নেতারা। তারা বিভিন্ন দূতাবাস-সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন দেশ সফর করে দলীয় অবস্থান, কর্মকাণ্ড, নীতি-কৌশল এবং আওয়ামী আমলে তাদের ওপর যেসব নির্যাতন করা হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরছেন।
সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী সরকারের পতনের দিন থেকেই জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও সারা দেশের কার্যালয়গুলো খোলা হয়। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সংস্কারকাজ শেষে নতুনরূপে চালু হয় সেপ্টেম্বরে। এরপরই কার্যালয়টিতে বিদেশি দূতাবাস-সংশ্লিষ্টদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর সেখানে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান প্রথম সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেন চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে। পরবর্তীতে একের পর কূটনীতিকদের আগমন ঘটে জামায়াত কার্যালয়ে।
এছাড়া দূতাবাস, মিশন ও কূটনীতিকদের বাসভবনে গিয়েও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন জামায়াত নেতারা। যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন দেশের অনুষ্ঠানে। এমনকি সংশ্লিষ্টদের আমন্ত্রণে বিভিন্ন দেশ সফর করছেন জামায়াত আমিরসহ দলের শীর্ষ নেতারা।
দলীয় একটি সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, পাকিস্তান, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ, কানাডা, ফ্রান্স, তুরস্ক, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিলসহ ৪০টির বেশি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে জামায়াত নেতাদের একাধিক বৈঠক হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ভারতীয় দূতাবাস বা দেশটির কোনো প্রতিনিধিদলের সঙ্গে জামায়াতের আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়নি।
সর্বশেষ গত বুধবার জামায়াত আমিরের সঙ্গে তার বসুন্ধরা কার্যালয়ে আলাদা সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেন ব্রাজিল ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূত। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে আরো প্রায় ১৪ দেশের কূটনীতিক বা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে জামায়াত নেতাদের বৈঠক হয়েছে। চলতি মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত বেশকিছু দেশের কূটনীতিকের সঙ্গে বৈঠকের শিডিউল রয়েছে।
এছাড়া চলতি মাসের শেষদিকে আমেরিকা ও কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত আমিরসহ একটি প্রতিনিধিদল। পর্যায়ক্রমে বিদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরদার করার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির।
কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে কোন ধরনের বিষয় গুরুত্ব পায় জানতে চাইলে দলের একজন নেতা আমার দেশকে জানান, কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের নীতি-কৌশল, রাজনৈতিক অবস্থান, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা এবং সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে দলের সম্পর্ক তৈরিসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। এসব বৈঠকে দলের নারী নেতাদেরও রাখা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জামায়াতের সম্পর্ক জোরদার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দলটির আমির এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগ-সংশ্লিষ্ট কমিটির প্রধান ডা. শফিকুর রহমান আমার দেশকে বলেন, আমরা সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চাই। আমরা সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে চলতে চাই।
আওয়ামী সরকারের রোষানলে পড়ে গত ১৫ বছর চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল জামায়াতে ইসলামী। ফ্যাসিবাদের দমননীতিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্ন হওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও একচেটিয়া অপপ্রচারের শিকার হয় দলটি। জুলাই বিপ্লবে স্বৈরাচার পতনের মধ্য দিয়ে দলটির পুনর্জাগরণ ঘটে। দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হওয়ার পর দলটির কার্যক্রম জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দ্রুতই আলোচনায় চলে আসে। এমনকি আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনরায় পেলে সরকার গঠনেরও মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।
এমন প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুনরায় সম্পর্ক জোরদার করছে জামায়াত। এর অংশ হিসেবে ঢাকায় নিয়োজিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে একের পর এক মতবিনিময় করছেন দলের নেতারা। তারা বিভিন্ন দূতাবাস-সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন দেশ সফর করে দলীয় অবস্থান, কর্মকাণ্ড, নীতি-কৌশল এবং আওয়ামী আমলে তাদের ওপর যেসব নির্যাতন করা হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরছেন।
সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী সরকারের পতনের দিন থেকেই জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও সারা দেশের কার্যালয়গুলো খোলা হয়। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সংস্কারকাজ শেষে নতুনরূপে চালু হয় সেপ্টেম্বরে। এরপরই কার্যালয়টিতে বিদেশি দূতাবাস-সংশ্লিষ্টদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর সেখানে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান প্রথম সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেন চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে। পরবর্তীতে একের পর কূটনীতিকদের আগমন ঘটে জামায়াত কার্যালয়ে।
এছাড়া দূতাবাস, মিশন ও কূটনীতিকদের বাসভবনে গিয়েও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন জামায়াত নেতারা। যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন দেশের অনুষ্ঠানে। এমনকি সংশ্লিষ্টদের আমন্ত্রণে বিভিন্ন দেশ সফর করছেন জামায়াত আমিরসহ দলের শীর্ষ নেতারা।
দলীয় একটি সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, পাকিস্তান, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ, কানাডা, ফ্রান্স, তুরস্ক, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিলসহ ৪০টির বেশি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে জামায়াত নেতাদের একাধিক বৈঠক হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ভারতীয় দূতাবাস বা দেশটির কোনো প্রতিনিধিদলের সঙ্গে জামায়াতের আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়নি।
সর্বশেষ গত বুধবার জামায়াত আমিরের সঙ্গে তার বসুন্ধরা কার্যালয়ে আলাদা সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেন ব্রাজিল ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূত। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে আরো প্রায় ১৪ দেশের কূটনীতিক বা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে জামায়াত নেতাদের বৈঠক হয়েছে। চলতি মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত বেশকিছু দেশের কূটনীতিকের সঙ্গে বৈঠকের শিডিউল রয়েছে।
এছাড়া চলতি মাসের শেষদিকে আমেরিকা ও কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত আমিরসহ একটি প্রতিনিধিদল। পর্যায়ক্রমে বিদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরদার করার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির।
কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে কোন ধরনের বিষয় গুরুত্ব পায় জানতে চাইলে দলের একজন নেতা আমার দেশকে জানান, কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের নীতি-কৌশল, রাজনৈতিক অবস্থান, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা এবং সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে দলের সম্পর্ক তৈরিসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। এসব বৈঠকে দলের নারী নেতাদেরও রাখা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জামায়াতের সম্পর্ক জোরদার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দলটির আমির এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগ-সংশ্লিষ্ট কমিটির প্রধান ডা. শফিকুর রহমান আমার দেশকে বলেন, আমরা সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চাই। আমরা সম্মান ও সমতার ভিত্তিতে চলতে চাই।
ইসলামী আন্দোলন নেতাদের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সফররত ইন্টারন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট (আইআরআই) প্রতিনিধি দল। বুধবার সকাল ১১টায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৩৩ মিনিট আগেজামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, জুলাই সনদের মধ্যে যেগুলো নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সেগুলো আগে পাস করে পরে নির্বাচন দিতে হবে। সেই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদকে আইনি রূপ দিতে হবে।
১ ঘণ্টা আগেবৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে বলে জানান এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের প্রক্রিয়া, মাঠ পর্যায়ের নিরপেক্ষতা ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
১ ঘণ্টা আগে