রাজধানীর পল্লবী এলাকায় মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল নেতা ও পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় গভীর শোক ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় যুবশক্তি।
সোমবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. তারিকুল ইসলাম এবং সদস্যসচিব ডা. জাহেদুল ইসলাম এ তীব্র নিন্দা জানান।
তারা বলেন, “প্রকাশ্য দিবালোকে মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের হাতে একজন রাজনৈতিক নেতাকে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা শুধু ব্যক্তিগত টার্গেট নয়; এটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর সরাসরি আঘাত। এই ঘটনা নিঃসন্দেহে পরিকল্পিত টার্গেট কিলিং এবং তা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির গভীর সংকটকে স্পষ্ট করে।”
নেতারা আরও বলেন— “ভিডিও ফুটেজে হামলাকারীদের ঠাণ্ডা মাথার পরিকল্পিত আচরণ প্রমাণ করে এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং ঘটনার রহস্য উদঘাটন ছাড়া রাষ্ট্র তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হিসেবে বিবেচিত হবে। রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের কোনো স্থান বাংলাদেশে নেই—আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমেই রাষ্ট্রকে তা প্রমাণ করতে হবে।”
যুবশক্তির নেতৃবৃন্দ ঘটনাটির দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত, ভিডিওতে থাকা হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার, নিহত গোলাম কিবরিয়ার পরিবারের নিরাপত্তা ও সহায়তা নিশ্চিতকরণ, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার এবং রাজনৈতিক সহিংসতা রোধে কার্যকর নীতি গ্রহণের দাবি জানান। তারা বলেন— “সন্ত্রাসী হামলা ও ভয়ের রাজনীতি গণতন্ত্রকে দুর্বল করে; ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত যুবশক্তি সোচ্চার থাকবে।”
এ ছাড়া সোমবার রাতে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়ার মরদেহ দেখতে এবং নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে যান জাতীয় যুবশক্তির আহবায়ক অ্যাডভোকেট মো: তারিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব ডা. জাহেদুল ইসলাম, মূখ্য সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ সোহেলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এসময় নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি অবিলম্বে তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

