বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অপশক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। চক্রান্তের কাছে মাথানত করবো না, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
রোববার দুপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম।
আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের সবারই ইতিহাস পড়া উচিত। একাত্তরে সাহিত্যিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী নারী-পুরুষদের তুলে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। যারা সেদিন আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করেছে, তাদের ক্ষমা করার কোনো কারণ থাকতে পারে না।
বুদ্ধিজীবী দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ একটি আত্মিক ও সাংস্কৃতিক দেশ। এখানে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান—সবাই মিলেই বাংলাদেশের সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে। তিনি বলেন, এ দেশে কখনো জোর করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া যায়নি, এবারও দেওয়া যাবে না। দেশের মানুষ সঠিক সিদ্ধান্তই নেবে।
আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ের বিষয়ে আশাবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গণতন্ত্রের সংগ্রাম এবং তারেক রহমানের ৩১ দফার আলোকে নতুন বাংলাদেশ গঠনের পক্ষে রায় দেবে। সেই সিদ্ধান্ত হবে ধানের শীষের পক্ষে।
বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ তুলে দলটির মহাসচিব বলেন, আগস্টের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বিএনপিকে খাটো করার চেষ্টা চলছে। এ প্রজন্মের দায়িত্ব হচ্ছে এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তার অসুস্থতা প্রতিটি জাতীয়তাবাদী কর্মীর জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়। খালেদা জিয়া সারাজীবন দেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন। কারাবরণ করেছেন, অসুস্থ অবস্থায়ও যথাযথ চিকিৎসা পাননি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজ পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি পরাজয় মেনে নিতে না পেরে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। হাদিকে হত্যার চেষ্টা ও নানা ঘোষণার মাধ্যমে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাওয়া হচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এসব চক্রান্ত সফল হতে দেবে না।

