১৮টি দল নিয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) নামে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন একটি রাজনৈতিক জোট।
রাজধানীর গুলশানে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
নতুন এই জোটের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুখপাত্র রুহুল আমিন হাওলাদার এবং প্রধান উপদেষ্টা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
জোটে থাকা দলগুলো হলো জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), জনতা পার্টি বাংলাদেশ, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), মুসলিম লীগ, জাতীয় সংস্কার জোট, স্বাধীন পার্টি, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, অ্যাপ্লায়েড ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ডেমোক্রেটিক পার্টি, জাসদ (শাহজাহান সিরাজ), ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ ও গণফ্রন্ট।
আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফ্রন্টটির প্রধান উপদেষ্টা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রুহুল আমিন হাওলাদার, গোলাম সারোয়ার মিলন, কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবুল হক চুন্নু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মহসিন রশীদ প্রমুখ।
আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, সবার প্রশ্ন নির্বাচন হবে কি না। অর্থাৎ সরকার এখনো নির্বাচনি পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেনি। এই নির্বাচন হতে যাচ্ছে মব কালচারের নির্বাচন। যদি না এই সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করতে না পারে। নির্বাচন যদি আমরা ঠিকভাবে না করতে পারি, অতীতের নির্বাচনগুলোর ভুল থেকে যদি শিক্ষা নিতে না পারি, তাহলে কীভাবে সম্ভব? বর্তমান যে অবস্থা চলছে সে অবস্থা থাকলে এটি প্রকৃত একটি মব কালচারের নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, আমাদের যে সুযোগ এসেছে, সেটিকে ভালোভাবে কাজে লাগানো উচিত। কারণ নির্বাচনই গণতন্ত্রের প্রথম ও প্রধান পাথেয়। নির্বাচন কমিশন বলছে, তারা প্রস্তুত। কিন্তু আমরা এর কোনো প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি না। আমরা আশা করি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করে নির্বাচনকে সঠিকভাবে আয়োজন করা হবে। যাতে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়।
জোট সম্পর্কে তিনি বলেন, ১৮টি দল একীভূত হয়ে আমরা আজ জোট করেছি। এই জোট কেবল নির্বাচনি জোট নয়, এটি রাজনৈতিক জোট। আমাদের জোটে অংশগ্রহণকারীরা এতে সম্মতি দিয়েই অংশগ্রহণ করছে। দেশ যে বিভাজনের মাঝে আছে আমরা সে বিভাজন দূর করে একটি ঐক্যবদ্ধ রাজনীতি উপহার দিব।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করে ফেলেছিল। ১৯৯২, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচন মানুষের কাছে এখনও গ্রহণযোগ্য। এরকম পরিবেশ কেন সৃষ্টি করা হচ্ছে না?
আনিসুল ইসলাম আরো বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি একটি শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন অর্থনীতির জন্য। আমরা অনেক ভুল করেছি। আমরা দলীয়ভাবে সেই ভুলের জন্য ক্ষমাও চেয়েছি। কিন্তু একটা সরকারকে পালিয়ে যেতে হয়, সেটি আমরা চাই না।
রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধপূর্ণ বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনের পর আমরা দেখছি প্রধান দলগুলো একজন অপরজনের অতীত নিয়ে কথা বলছে। এটি আমরা চাই না। আমরা চাই ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা হোক। আমরা আমাদের প্রশাসন, পরিবেশ ও আইনশৃঙ্খলা উন্নতি না করে ৭১-এ কে কী করেছে, কে আগে কী করেছে সেটা চিন্তা করছি। আমরা এসব চাই না। আমরা চাই পুরোনো সব ভুলে যেতে।


আওয়ামী দোসরদের নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ, নেতৃত্বে যারা