গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়ায় মজলুমদের কান্না কিছুটা হলেও থামবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, এ রায়কে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ লকডাউন ঘোষণা করলেও মানুষ তাতে সাড়া দেয়নি।
তিনি মঙ্গলবার রাতে ঢাকা-১৫ আসন, কাফরুল দক্ষিণ থানার অন্তর্গত ইব্রাহিমপুরে ‘ডা. শফিকুর রহমান সমর্থক গোষ্ঠী’ আয়োজিত প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় স্থানীয় জামায়াত নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা একটা মানবিক বাংলাদেশ চাই। যে দেশে প্রত্যেক মানুষ মানুষকে সম্মান করবে। সত্যিকারের স্বাধীন একটা দেশের নাগরিক হয়ে বেঁচে থাকতে চাই। আমরা যে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছি তা কোনো ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে নয়, এটা জনগণের পক্ষের। আমাদের জীবন থাকতে কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবো না।
চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা জানিয়ে তিনি বলেন, সমাজকে এই বিষবাষ্প থেকে বের করে আনতে হবে।
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে গায়ের জোরে নয়, ন্যায় ও সততার সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে বলেও জানান তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, যুব সমাজ চব্বিশে বুক চেতিয়ে লড়াই করেছে, জীবন দিয়েছে, পঙ্গু হয়েছে। তারা অনেকেই জানতো না তারা বেঁচে থাকবে কি না। এ জাতির কাছে সেই যুব সমাজের বিশাল চাহিদা-প্রত্যাশা আছে। তাদের এই প্রত্যাশাকে আমরা সম্মান করি। তোমাদের এই প্রত্যাশা পূরণে আমরা লড়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। যুবকদেরকে দক্ষ হাত এবং ভোটের মৌলিক অধিকারের জন্য লড়াই করতে হবে।
তিনি বলেন, অনেকের আশঙ্কা, আগামী নির্বাচন ঘিরে কেউ গাছে কাঁঠাল রেখে গোঁফে তেল দিচ্ছেন। পেশিশক্তি আর কালোটাকার মাধ্যমে অন্যের ভোট হাইজ্যাক করবেন। তাদের প্রতি স্পষ্ট বার্তা হলো-আমরা যুবক হয়ে বিস্ফোরিত হবো ইনশাআল্লাহ। এই যুবকদের ভোট, আমার ভোট নিয়ে কেউ কাড়াকাড়ি করুক-এটা বরদাশত করবো না। এখন থেকেই যুবকদেরকে প্রস্তুত হতে হবে।
নিজ নির্বাচনি এলাকা ঢাকা-১৫ আসন সম্পর্কে তিনি বলেন, এখানে সন্ত্রাসের রাজত্ব ছিল। আমরা সন্ত্রাসের কোনো কালো ছায়া বরদাশত করবো না। এ এলাকাকে সন্ত্রাসমুক্ত করে গড়ে তোলা হবে। যুবকদের চাহিদা ও মানসিক বিকাশের দিকে লক্ষ্য রাখবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, এখানে উপযুক্ত পার্ক, মাঠ নেই। ড্রেনগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভরা। আমরা সেগুলো পরিষ্কার করবো। রাষ্ট্রীয় ফান্ড থেকে না হলে জনগণের টাকা নিয়ে করবো। এক্ষেত্রে কোনো চাঁদাবাজি হবে না। জনগণ মানবিক দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসবে ইনশাআল্লাহ। সমাজে শৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারলে এটা ডায়মন্ডের মতো চমকাবে।

