নির্বাচনে যে আসনে প্রার্থী হবেন ব্যারিস্টার পার্থ

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫, ১০: ৩৯

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরে মফস্বল অঞ্চলেও বইছে ভোটের হাওয়া। প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের মধ্যে। উৎসবের আমেজ ফিরেছে পাড়া-মহল্লায়। দীর্ঘ দেড় দশক পর পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে পারার স্বপ্নে বিভোর ভোটাররা।

ভোলার সাতটি উপজেলা নিয়ে গঠিত চারটি সংসদীয় আসন। ১৯৮৪ সালে জেলা ভাগ হওয়ার পর থেকে এখানে আধিপত্য ছিল আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির (জাপা)। এরপর ধীরে ধীরে সেখানে ঘাঁটি গাড়ে বিএনপি। মাঝে সাড়ে ১৫ বছর রাজত্ব করেছে আওয়ামী লীগ। এবার নিজেদের হারানো কেল্লা পুনরুদ্ধার করতে চায় বিএনপি।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে নতুন করে স্বপ্ন বুনছে জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এর মধ্যে বিএনপির একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকায় নেতারা তাকিয়ে আছেন কেন্দ্রের দিকে, চালাচ্ছেন নানাভাবে লবিং-তদবির আর একক প্রার্থী বেশ আগে ঘোষণা করায় প্রচারে এগিয়ে রয়েছেন জামায়াত নেতারা।

ভোলা-১ (সদর) বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ আসনে দীর্ঘদিন দলটির নেতারা নির্বাচনে ছিলেন না। আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় থাকলেও জোটগত কারণে মনোনয়ন পেয়ে এমপি হন বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ।

এবার ভিত্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠায় মরিয়া বিএনপি নেতারা। মাঠ দখলের জন্য প্রার্থী হতে চান জেলা বিএনপির আহবায়ক, সাবেক পৌর মেয়র, গোলাম নবী আলমগীর। এখন পর্যন্ত তিনিই দলটির একক মনোনয়নপ্রত্যাশী।

গোলাম নবী বলেন, ‘আমি দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী। জনগণের জন্য কাজ করি। ভোটের মাধ্যমে মানুষ আমাকে পুরস্কৃত করবেÑএটাই আমার প্রত্যাশা।’

এদিকে জামায়াতের একক প্রার্থী হওয়ায় অনেক আগ থেকেই মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন দলের জেলা শাখার নায়েবে আমির ও মৌলভীরহাট সিনিয়র ফাজিল মডেল মাদরাসার অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম। জুলাই বিপ্লবে ভোলার শহীদ ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের নিয়ে বিশাল গণজমায়েতের মাধ্যমে অনুদান প্রদান, তাদের খোঁজখবর নেওয়া, দুস্থ ও অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো, সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা এবং ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রচারণার মাধ্যমে শক্ত অবস্থান তৈরি করছেন তিনি। অন্যদিকে ১৮ বছর পর দলের সেক্রেটারি জেনারেলের উপস্থিতিতে বিশাল কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে উজ্জীবিত করেছেন নেতাকর্মীদের। সবাই মিলে তার নির্বাচনি প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

অধ্যক্ষ নজরুল বলেন, ‘সব জুলুম-অত্যাচারের মধ্যেও আমরা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হইনি। আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে পিছু হটিনি। সুতরাং আমাদের এসব সফল কর্মকাণ্ডের জবাব জনগণ ভোটের মাধ্যমে দেবে বলে আশা করছি।’

অন্যদিকে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন হলে সম্ভাব্য জোটের হয়ে নির্বাচন করবেন বিজেপি চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। জোট না হলেও তিনি দলের প্রার্থী হিসেবে এখানে নির্বাচন করবেন বলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।

ব্যারিস্টার পার্থ বলেন, ‘আমি এই আসন থেকেই নির্বাচন করব। তবে কোন সমীকরণে নির্বাচন হবে, সেটা সময়ই বলে দেবে।’

তবে বসে নেই ইসলামী আন্দোলনের একক প্রার্থী ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা ওবায়দুর রহমান। প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।

ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘ভোলার উন্নয়নে কাজ করার জন্যই আমি ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হয়েছি।’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত