স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের আঞ্চলিক অফিস স্থাপনের অনুমতি দেয়ার এখতিয়ার বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের নেই বলে মন্তব্য করেছেন, উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। তিনি বলেছেন, যে সরকার মাত্র তিন মাসের সীমিত মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছে, সে সরকার কিভাবে তিন বছরের জন্য মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনের অনুমতি দেয়! এই সরকারের এই এখতিয়ার নেই। তাদের নিরপেক্ষতা এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
মাওলানা আফেন্দী বলেন, আমরা স্পষ্টই প্রত্যক্ষ করছি—অন্তবর্তীকালীন সরকার বিপ্লবীদের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বরং একটি নির্দিষ্ট অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের দিকেই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এটি নিঃসন্দেহে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। আমাদের শহীদরা মানবাধিকার কমিশনের দপ্তর প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে রক্ত দেয়নি।
তিনি বৃহস্পতিবার জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ কুমিল্লা জেলা ও মহানগরের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কুমিল্লা পদুয়া বাজারে হোটেল নুরজাহানের হলরুমে আয়োজিত এই কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি মুফতি আমজাদ হোসাইন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা লোকমান মাযহারী, প্রচার সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, সমাজসেবা সম্পাদক মাওলানা শামসুল আরেফীন খান সাদী, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক মুফতী জাবের কাসেমী, মাওলানা শাহজালাল ভূঁইয়া, মুফতি শামসুল ইসলাম জিলানী, ছাত্র জমিয়তের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিদওয়ান মাযহারী প্রমুখ।
মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী আরও বলেন, যারা মৌলবাদকে ইসলামের সঙ্গে তুলনা করেন এক্ষেত্রে তাদের মধ্যে দূরদর্শিতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। আমরা এ ধরনের বক্তব্যের নিন্দা জানাই। একইভাবে, যারা ধর্মীয় কিংবা রাজনৈতিক সকল প্রকার জঙ্গিবাদকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় আমরা তাদের এই বক্তব্যও প্রত্যাখ্যান করি। ধর্ম কখনোই জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না; বরং ধর্ম শান্তি, ন্যায় ও মানবিকতার শিক্ষা দেয়। যারা ধর্মকে জঙ্গিবাদের সঙ্গে তুলনা করে, তাদের ইসলাম ও ধর্মীয় জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা নিয়ে আমাদের সন্দেহ জাগে। আমরা এ ধরনের বক্তব্যেরও নিন্দা জানাই।
এ সময় অন্য বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের আঞ্চলিক অফিস স্থাপন একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। যা দেশের ধর্মীয় মূল্যবোধ, সামাজিক রীতিনীতি ও সংবিধানবিরোধী কর্মকাণ্ডের পথ সুগম করবে। এটি কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না, বরং এলজিবিটিকিউ এক্টিভিজম ও ধর্মবিরোধী অপচেষ্টার বৈধতা দিতে ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।
তারা বলেন, ড. মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন ও আসিফ মাহতাব উৎস-এর মতো বিশিষ্ট লেখক ও চিন্তাবিদদের বিরুদ্ধে সমকামী এক্টিভিস্ট সাফওয়ান চৌধুরী রেবিলের প্রকাশ্য হত্যার হুমকি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও নিন্দনীয়। এ ঘটনায় অবিলম্বে তার গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
কাউন্সিলে মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফীকে সভাপতি ও মাওলানা শাহজালাল ভূঁইয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া মাওলানা মোতাহার হোসাইনকে সভাপতি ও মাওলানা ইয়াকুব আলীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬১ বিশিষ্ট মহানগর কমিটি কমিটি গঠন করা হয়।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের আঞ্চলিক অফিস স্থাপনের অনুমতি দেয়ার এখতিয়ার বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের নেই বলে মন্তব্য করেছেন, উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। তিনি বলেছেন, যে সরকার মাত্র তিন মাসের সীমিত মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছে, সে সরকার কিভাবে তিন বছরের জন্য মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনের অনুমতি দেয়! এই সরকারের এই এখতিয়ার নেই। তাদের নিরপেক্ষতা এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
মাওলানা আফেন্দী বলেন, আমরা স্পষ্টই প্রত্যক্ষ করছি—অন্তবর্তীকালীন সরকার বিপ্লবীদের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বরং একটি নির্দিষ্ট অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের দিকেই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এটি নিঃসন্দেহে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। আমাদের শহীদরা মানবাধিকার কমিশনের দপ্তর প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে রক্ত দেয়নি।
তিনি বৃহস্পতিবার জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ কুমিল্লা জেলা ও মহানগরের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কুমিল্লা পদুয়া বাজারে হোটেল নুরজাহানের হলরুমে আয়োজিত এই কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি মুফতি আমজাদ হোসাইন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা লোকমান মাযহারী, প্রচার সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, সমাজসেবা সম্পাদক মাওলানা শামসুল আরেফীন খান সাদী, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক মুফতী জাবের কাসেমী, মাওলানা শাহজালাল ভূঁইয়া, মুফতি শামসুল ইসলাম জিলানী, ছাত্র জমিয়তের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিদওয়ান মাযহারী প্রমুখ।
মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী আরও বলেন, যারা মৌলবাদকে ইসলামের সঙ্গে তুলনা করেন এক্ষেত্রে তাদের মধ্যে দূরদর্শিতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। আমরা এ ধরনের বক্তব্যের নিন্দা জানাই। একইভাবে, যারা ধর্মীয় কিংবা রাজনৈতিক সকল প্রকার জঙ্গিবাদকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় আমরা তাদের এই বক্তব্যও প্রত্যাখ্যান করি। ধর্ম কখনোই জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না; বরং ধর্ম শান্তি, ন্যায় ও মানবিকতার শিক্ষা দেয়। যারা ধর্মকে জঙ্গিবাদের সঙ্গে তুলনা করে, তাদের ইসলাম ও ধর্মীয় জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা নিয়ে আমাদের সন্দেহ জাগে। আমরা এ ধরনের বক্তব্যেরও নিন্দা জানাই।
এ সময় অন্য বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের আঞ্চলিক অফিস স্থাপন একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। যা দেশের ধর্মীয় মূল্যবোধ, সামাজিক রীতিনীতি ও সংবিধানবিরোধী কর্মকাণ্ডের পথ সুগম করবে। এটি কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না, বরং এলজিবিটিকিউ এক্টিভিজম ও ধর্মবিরোধী অপচেষ্টার বৈধতা দিতে ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।
তারা বলেন, ড. মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন ও আসিফ মাহতাব উৎস-এর মতো বিশিষ্ট লেখক ও চিন্তাবিদদের বিরুদ্ধে সমকামী এক্টিভিস্ট সাফওয়ান চৌধুরী রেবিলের প্রকাশ্য হত্যার হুমকি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও নিন্দনীয়। এ ঘটনায় অবিলম্বে তার গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
কাউন্সিলে মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফীকে সভাপতি ও মাওলানা শাহজালাল ভূঁইয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া মাওলানা মোতাহার হোসাইনকে সভাপতি ও মাওলানা ইয়াকুব আলীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬১ বিশিষ্ট মহানগর কমিটি কমিটি গঠন করা হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে বিভিন্ন মেরূকরণ। এ নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে, কোন দল কার সঙ্গে সমঝোতা বা জোট করে ভোট করবে-এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা ও তৎপরতাও জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মহলে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
৩ মিনিট আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, জনগণের রক্ষক সেনাবাহিনীকে কোনদিন যেন জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো না হয়।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)’র সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, সোনার বাংলাকে শ্মশানে পরিণত করার জন্য হিন্দুস্তান ও আওয়ামী লীগ ৭১ সাল থেকেই একসাথে কাজ করছে। যুগে যুগে তাদের সহযোগিতা করেছে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল।
১ ঘণ্টা আগেকারাগারে পাঠানো সেনা কর্মকর্তারা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন
১ ঘণ্টা আগে