স্টাফ রিপোর্টার
আমরা সংসদ নির্বাচন করতে চাই। যদি সংসদ নির্বাচন না হয়, তাহলে দেশে একটি অন্ধকারের শক্তি আবার ক্ষমতায় আসবে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএফইউজে ও ডিইউজে।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আমরা যদি নিজেরাই প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি না করি, তাহলে তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। অনেক মানুষের মনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, যা আমি প্রায়শই শুনি, তা হলো: "এই দেশে কি নির্বাচন হবে?"। বাংলাদেশের ব্যাপক মানুষের মধ্যে এই সংশয় বিদ্যমান। গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যের পর, প্রচলিত ধারণা হলো যে নির্বাচন সম্ভবত হবে।
তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস যে ফ্যাসিবাদ ফিরবে না। যারা অন্যায় করেছে তাদের কুকীর্তি এবং গত ১৫ বছরের তাদের কর্ম ও কথার প্রমাণ, তাদের পক্ষে নতুন কোনো রাজনৈতিক ন্যারেটিভ তৈরি করা অসম্ভব করে তুলেছে। কেউ গ্রহণ করবে না যে গত ১৫ বছরে তাদের কাজ ভালো ছিল। যেসব যুবক এই সাম্প্রতিক আন্দোলনগুলোতে অংশ নিয়েছে, যারা গড়ে আরো ৫০ বছর বেঁচে থাকবে, তারা তাদের কোনোদিন ক্ষমা করবে না।
মান্না বলেন, নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি একটি নির্বাচন হবে, এবং সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে। যারা বর্তমানে মনে করেন যে এইভাবে নির্বাচন করা যাবে না, তারা বুঝবেন যে যদি তারা অংশ না নেন, তাহলে যে পরিস্থিতি তৈরি হবে, তাতে রাজনীতি করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
মান্না বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে যাতে ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিল মাসে নির্বাচন করা যায়। যদিও উভয় মাস উল্লেখ করায় কিছু বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে, আমি বিশ্বাস করি যে ফেব্রুয়ারিতে হোক, এপ্রিলে হোক, বা এমনকি গোলাম সাহেব যেমনটি উল্লেখ করেছেন, আরো কয়েক মাস পরেই হোক, প্রফেসর ইউনূসের সরকার থাকবে না। তবে প্রফেসর ইউনূস পরামর্শ দিয়েছেন যে যতদূর ঐক্য হয়েছে, ততদূর পর্যন্ত তারা ঐক্য গড়ে তুলবে, বাকিগুলো ভবিষ্যতের জন্য ছেড়ে দেবে। যারা জাতীয় ঐক্যের পক্ষে কথা বলেন, তাদের জন্য এর অর্থ হলো আমাদের মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা মূল বিষয়গুলোতে ঐক্যবদ্ধ থাকব।
সংস্কারের অগ্রগতির বিষয়ে মান্না বলেন, এটা সত্য যে এত দিন ধরে আলোচিত সংস্কারের বিষয়ে খুব ইতিবাচক অগ্রগতি হয়নি, তবে তা একেবারেই অনুপস্থিত তাও নয়। আমরা কিছু মৌলিক বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছি। দুটি দল, একটি ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় এবং অন্যটি বিলম্ব পছন্দ করে, তারা পাশাপাশি বসেছে, কথা বলেছে, এবং নিজেদের মত প্রকাশ করেছে বড় ধরনের সংঘাত ছাড়াই, যা একটি অগ্রগতি।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আব্দুল হাই সিকদার, দৈনিক আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান,বিএফইউজের সহ-সভাপতি এ কে এম মহসিন,সহকারী মহাসচিব বাছির জামাল, প্রবাসী সাংবাদিক ইমরান আনসারী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক এম সাইদ খান প্রমুখ।
আমরা সংসদ নির্বাচন করতে চাই। যদি সংসদ নির্বাচন না হয়, তাহলে দেশে একটি অন্ধকারের শক্তি আবার ক্ষমতায় আসবে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএফইউজে ও ডিইউজে।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আমরা যদি নিজেরাই প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি না করি, তাহলে তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। অনেক মানুষের মনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, যা আমি প্রায়শই শুনি, তা হলো: "এই দেশে কি নির্বাচন হবে?"। বাংলাদেশের ব্যাপক মানুষের মধ্যে এই সংশয় বিদ্যমান। গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যের পর, প্রচলিত ধারণা হলো যে নির্বাচন সম্ভবত হবে।
তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস যে ফ্যাসিবাদ ফিরবে না। যারা অন্যায় করেছে তাদের কুকীর্তি এবং গত ১৫ বছরের তাদের কর্ম ও কথার প্রমাণ, তাদের পক্ষে নতুন কোনো রাজনৈতিক ন্যারেটিভ তৈরি করা অসম্ভব করে তুলেছে। কেউ গ্রহণ করবে না যে গত ১৫ বছরে তাদের কাজ ভালো ছিল। যেসব যুবক এই সাম্প্রতিক আন্দোলনগুলোতে অংশ নিয়েছে, যারা গড়ে আরো ৫০ বছর বেঁচে থাকবে, তারা তাদের কোনোদিন ক্ষমা করবে না।
মান্না বলেন, নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি একটি নির্বাচন হবে, এবং সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে। যারা বর্তমানে মনে করেন যে এইভাবে নির্বাচন করা যাবে না, তারা বুঝবেন যে যদি তারা অংশ না নেন, তাহলে যে পরিস্থিতি তৈরি হবে, তাতে রাজনীতি করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
মান্না বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে যাতে ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিল মাসে নির্বাচন করা যায়। যদিও উভয় মাস উল্লেখ করায় কিছু বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে, আমি বিশ্বাস করি যে ফেব্রুয়ারিতে হোক, এপ্রিলে হোক, বা এমনকি গোলাম সাহেব যেমনটি উল্লেখ করেছেন, আরো কয়েক মাস পরেই হোক, প্রফেসর ইউনূসের সরকার থাকবে না। তবে প্রফেসর ইউনূস পরামর্শ দিয়েছেন যে যতদূর ঐক্য হয়েছে, ততদূর পর্যন্ত তারা ঐক্য গড়ে তুলবে, বাকিগুলো ভবিষ্যতের জন্য ছেড়ে দেবে। যারা জাতীয় ঐক্যের পক্ষে কথা বলেন, তাদের জন্য এর অর্থ হলো আমাদের মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা মূল বিষয়গুলোতে ঐক্যবদ্ধ থাকব।
সংস্কারের অগ্রগতির বিষয়ে মান্না বলেন, এটা সত্য যে এত দিন ধরে আলোচিত সংস্কারের বিষয়ে খুব ইতিবাচক অগ্রগতি হয়নি, তবে তা একেবারেই অনুপস্থিত তাও নয়। আমরা কিছু মৌলিক বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছি। দুটি দল, একটি ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় এবং অন্যটি বিলম্ব পছন্দ করে, তারা পাশাপাশি বসেছে, কথা বলেছে, এবং নিজেদের মত প্রকাশ করেছে বড় ধরনের সংঘাত ছাড়াই, যা একটি অগ্রগতি।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আব্দুল হাই সিকদার, দৈনিক আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান,বিএফইউজের সহ-সভাপতি এ কে এম মহসিন,সহকারী মহাসচিব বাছির জামাল, প্রবাসী সাংবাদিক ইমরান আনসারী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক এম সাইদ খান প্রমুখ।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, জনগণের রক্ষক সেনাবাহিনীকে কোনদিন যেন জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো না হয়।
২৭ মিনিট আগেজাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)’র সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, সোনার বাংলাকে শ্মশানে পরিণত করার জন্য হিন্দুস্তান ও আওয়ামী লীগ ৭১ সাল থেকেই একসাথে কাজ করছে। যুগে যুগে তাদের সহযোগিতা করেছে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল।
৪১ মিনিট আগেকারাগারে পাঠানো সেনা কর্মকর্তারা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন
১ ঘণ্টা আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবিরকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে