টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণ

বাফুফেকে আশ্বাস দিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৬: ০০

কক্সবাজারের রামুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণ করার কথা ছিল। বাফুফেকে জমিও বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। পরে সেই জমির পরিবর্তে একই এলাকায় নতুন জমি বরাদ্দ পায় বাফুফে। কিন্তু এখনো প্রকল্পটির কাজ শুরু করতে পারেনি বাফুফে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে ফুটবল ফেডারেশন। এ অপেক্ষা আর দীর্ঘায়িত হবে না বলে আশ্বাস দিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল ফিফা ফরোয়ার্ড প্রজেক্টের আওতায় নির্মিত কমলাপুর স্টেডিয়াম ও বাফুফে ভবনের পাশের কৃত্রিম ঘাসের মাঠের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে এই আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের জন্য ফিফার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় প্রায় ৩০ কোটি টাকা পাবে বাফুফে। তবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে টেকনিক্যাল সেন্টারের নির্মাণকাজ শুরু না করলে এই বরাদ্দ ফেরত যাবে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি এখন ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রসেসিংয়ে আছে। আশা করি, ফান্ড আমাদের এখান থেকে যাওয়ার মতো অবস্থা হবে না। এরই মধ্যে আমরা বাফুফে ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারব।’

বাফুফের টেকনিক্যাল সেন্টারে মাঠসহ আধুনিক সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাখবে। একই সঙ্গে ঘাসের মাঠ, কৃত্রিম টার্ফ, জিমনেসিয়াম, সুইমিংপুল, খেলোয়াড়দের জন্য একাডেমিক ভবন করার পরিকল্পনা রয়েছে বাফুফের। এজন্য ২০২২ সালের জুলাইয়ে কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালংয়ে ২০ একর জায়গা বাফুফের অনুকূলে হস্তান্তর করে বন বিভাগ। বাফুফে সেখানে সেন্টার ফর এক্সিলেন্স নির্মাণের প্রস্তুতি নিয়ে ফিফার কাছে পাঠায় ইএসআই (এনভায়রনমেন্ট সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অ্যানালাইসিস) রিপোর্ট।

পরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জানায়, জায়গাটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে পড়েছে, সেখানে নির্মাণকাজে পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা আছে। তাই বাফুফেকে বিকল্প জায়গায় টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের প্রস্তাব দেয় ক্রীড়া পরিষদ। একই উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের ধলিরছড়ায় হবে বাফুফে টেকনিক্যাল সেন্টার।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত