স্পোর্টস রিপোর্টার
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আবাহনীর বিপক্ষে মোহামেডান অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়ের আম্পায়ারের সঙ্গে অশালীন আচরণের দৃশ্যটি কি মনে পড়ে? মনে পড়াটাই স্বাভাবিক। সেদিন আইসিসির এলিট প্যানেল আম্পায়ার শরফুদৌল্লা ইবনে শহীদ সৈকতের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন তিনি। শুধু কি তা-ই, ওই আচরণের কারণে শাস্তি পেয়ে মাঠের বাইরে এসে সংবাদমাধ্যমের সামনে ‘মুখ খোলার’ হুমকি দিয়ে ফের শাস্তি পান। তাতে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হন এই ক্রিকেটার। পরে একই কাণ্ডের অবতারণা করে এখন চার ম্যাচ নিষিদ্ধ তিনি। এমন বেপরোয়া আচরণে হৃদয় হারিয়ে ফেলেছেন নিজের খেই। মাঠে পারফরম্যান্স নেই, অথচ আগ্রাসী ও বেপরোয়া আচরণে একদম একশতে একশ তাওহিদ হৃদয়।
মোহামেডানের অধিনায়কত্ব পাওয়ার পরপরই যেন স্বভাবে-আচরণে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন তাওহিদ হৃদয়। মাঠে যেমন অসদাচরণ করছেন, ঠিক তেমনি মাঠের বাইরে ম্যাচ অফিসিয়ালদের সঙ্গেও করেছেন অশালীন আচরণ। যে দুই ম্যাচে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, সে দুই ম্যাচেই এমন কাজ করেছেন তিনি। ডিপিএলের রবিন রাউন্ড লিগে আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে আম্পায়ারদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ানোর পর শুনানিতে গিয়ে আগ্রাসী আচরণ করেন। শুধু কী তা-ই! শুনানিতে শাস্তি পেয়ে গণমাধ্যমের সামনে এসে আম্পায়ারদের বিপক্ষে দেন ‘মুখ খোলার’ হুমকি। তাতে শাস্তি বেড়ে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হন।
তবে মোহামেডানের ‘চাপে’ ডিপিএলের বাইলজ বদলে তার শাস্তি কমে আসে এক ম্যাচে। খেলে ফেলেন এক ম্যাচ। পরে যখন সমালোচনার ঝড় ওঠে, তখন আবারও তাকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি। কিন্তু তামিম ইকবালসহ অন্যান্য ক্রিকেটারের চাপে শেষ পর্যন্ত তার সেই শাস্তি এক বছরের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার অদ্ভুত নতজানু সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবির তথাকথিত স্বাধীন টেকনিক্যাল কমিটি। কিন্তু পরের ম্যাচেই ফের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে ডিমেরিট পয়েন্ট ও জরিমানার শাস্তি পান হৃদয়। তাতে এখন ঘরোয়া ক্রিকেটে চার ম্যাচ নিষিদ্ধ হলেন এই ক্রিকেটার।
প্রথম দফায় যখন তার ওপর শাস্তির খড়গ নেমে আসে, তখন হৃদয় ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ রাহুলের ডাকে শুনানিতে অংশ নেন। তবে সেখানেও তার বিরুদ্ধে ছিল অশালীন আচরণের অভিযোগ। শুনানি চলাকালে ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারের সঙ্গে বেশ আগ্রাসী আচরণ করেন। দ্বিতীয় দফায় যখন মাঠে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে শাস্তি পেয়েছেন, তখন হৃদয় শুনানিতেই অংশ নেননি। অথচ তার জন্য আম্পায়ার্স রুমে ম্যাচ অফিসিয়ালরা অপেক্ষায় ছিলেন লম্বা সময়।
আইসিসির আন্তর্জাতিক ম্যাচ রেফারি প্যানেলে যে তিন বাংলাদেশি আছেন, তার মধ্যে একজন হলেন আকতার আহমেদ শিপার। গত শনিবার তিনিই গাজী গ্রুপ ও মোহামেডানের মধ্যকার ম্যাচে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই ম্যাচ রেফারির ডাক উপেক্ষা করেছেন তিনি। এর আগে তিনি আরেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ রাহুলের ডাকে শুনানিতে গিয়ে করেছেন আগ্রাসী আচরণ। যাকে সহজ ব্যাখ্যায় বলা হয় বেয়াদবি, সেটাই মাঠে আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির সঙ্গে করেছেন হৃদয়।
তার এমন আচরণে খানিকটা স্পষ্ট, নিজেকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। মাত্র বছর দুয়েক আগে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া হৃদয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশকে এনে দিতে পারেননি বড় কোনো সাফল্য। গত এক বছরে তার পারফরম্যান্সও ছিল না আশাজাগানিয়া। এক বছরে জাতীয় দলের জার্সিতে ২৩ ম্যাচে ২২ ইনিংসে তার ব্যাটে এসেছে তিন হাফ সেঞ্চুরির পাশাপাশি আছে একটি মাত্র সেঞ্চুরি।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) মোহামেডানের হয়ে খেলার জন্য তাওহিদ হৃদয় অন্ততপক্ষে অর্ধকোটি টাকা নিয়েছেন। এবারের আসরে ১৪ ম্যাচের ১১ ইনিংসে ৫৮.৬৩ গড়ে করেছেন ৪৬৯ রান। এ সময়ে তার ব্যাটে এসেছে পাঁচ হাফ সেঞ্চুরি। তবে মাঠে রানের চেয়ে তার বেপরোয়া আচরণই এখন বেশি আলোচিত-সমালোচিত। দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন। দ্বিতীয় দফায় তার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে আগামীকাল আবাহনীর বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আবাহনীর বিপক্ষে মোহামেডান অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়ের আম্পায়ারের সঙ্গে অশালীন আচরণের দৃশ্যটি কি মনে পড়ে? মনে পড়াটাই স্বাভাবিক। সেদিন আইসিসির এলিট প্যানেল আম্পায়ার শরফুদৌল্লা ইবনে শহীদ সৈকতের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন তিনি। শুধু কি তা-ই, ওই আচরণের কারণে শাস্তি পেয়ে মাঠের বাইরে এসে সংবাদমাধ্যমের সামনে ‘মুখ খোলার’ হুমকি দিয়ে ফের শাস্তি পান। তাতে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হন এই ক্রিকেটার। পরে একই কাণ্ডের অবতারণা করে এখন চার ম্যাচ নিষিদ্ধ তিনি। এমন বেপরোয়া আচরণে হৃদয় হারিয়ে ফেলেছেন নিজের খেই। মাঠে পারফরম্যান্স নেই, অথচ আগ্রাসী ও বেপরোয়া আচরণে একদম একশতে একশ তাওহিদ হৃদয়।
মোহামেডানের অধিনায়কত্ব পাওয়ার পরপরই যেন স্বভাবে-আচরণে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন তাওহিদ হৃদয়। মাঠে যেমন অসদাচরণ করছেন, ঠিক তেমনি মাঠের বাইরে ম্যাচ অফিসিয়ালদের সঙ্গেও করেছেন অশালীন আচরণ। যে দুই ম্যাচে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, সে দুই ম্যাচেই এমন কাজ করেছেন তিনি। ডিপিএলের রবিন রাউন্ড লিগে আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে আম্পায়ারদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ানোর পর শুনানিতে গিয়ে আগ্রাসী আচরণ করেন। শুধু কী তা-ই! শুনানিতে শাস্তি পেয়ে গণমাধ্যমের সামনে এসে আম্পায়ারদের বিপক্ষে দেন ‘মুখ খোলার’ হুমকি। তাতে শাস্তি বেড়ে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হন।
তবে মোহামেডানের ‘চাপে’ ডিপিএলের বাইলজ বদলে তার শাস্তি কমে আসে এক ম্যাচে। খেলে ফেলেন এক ম্যাচ। পরে যখন সমালোচনার ঝড় ওঠে, তখন আবারও তাকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি। কিন্তু তামিম ইকবালসহ অন্যান্য ক্রিকেটারের চাপে শেষ পর্যন্ত তার সেই শাস্তি এক বছরের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার অদ্ভুত নতজানু সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবির তথাকথিত স্বাধীন টেকনিক্যাল কমিটি। কিন্তু পরের ম্যাচেই ফের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে ডিমেরিট পয়েন্ট ও জরিমানার শাস্তি পান হৃদয়। তাতে এখন ঘরোয়া ক্রিকেটে চার ম্যাচ নিষিদ্ধ হলেন এই ক্রিকেটার।
প্রথম দফায় যখন তার ওপর শাস্তির খড়গ নেমে আসে, তখন হৃদয় ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ রাহুলের ডাকে শুনানিতে অংশ নেন। তবে সেখানেও তার বিরুদ্ধে ছিল অশালীন আচরণের অভিযোগ। শুনানি চলাকালে ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারের সঙ্গে বেশ আগ্রাসী আচরণ করেন। দ্বিতীয় দফায় যখন মাঠে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে শাস্তি পেয়েছেন, তখন হৃদয় শুনানিতেই অংশ নেননি। অথচ তার জন্য আম্পায়ার্স রুমে ম্যাচ অফিসিয়ালরা অপেক্ষায় ছিলেন লম্বা সময়।
আইসিসির আন্তর্জাতিক ম্যাচ রেফারি প্যানেলে যে তিন বাংলাদেশি আছেন, তার মধ্যে একজন হলেন আকতার আহমেদ শিপার। গত শনিবার তিনিই গাজী গ্রুপ ও মোহামেডানের মধ্যকার ম্যাচে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই ম্যাচ রেফারির ডাক উপেক্ষা করেছেন তিনি। এর আগে তিনি আরেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ রাহুলের ডাকে শুনানিতে গিয়ে করেছেন আগ্রাসী আচরণ। যাকে সহজ ব্যাখ্যায় বলা হয় বেয়াদবি, সেটাই মাঠে আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির সঙ্গে করেছেন হৃদয়।
তার এমন আচরণে খানিকটা স্পষ্ট, নিজেকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। মাত্র বছর দুয়েক আগে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া হৃদয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশকে এনে দিতে পারেননি বড় কোনো সাফল্য। গত এক বছরে তার পারফরম্যান্সও ছিল না আশাজাগানিয়া। এক বছরে জাতীয় দলের জার্সিতে ২৩ ম্যাচে ২২ ইনিংসে তার ব্যাটে এসেছে তিন হাফ সেঞ্চুরির পাশাপাশি আছে একটি মাত্র সেঞ্চুরি।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) মোহামেডানের হয়ে খেলার জন্য তাওহিদ হৃদয় অন্ততপক্ষে অর্ধকোটি টাকা নিয়েছেন। এবারের আসরে ১৪ ম্যাচের ১১ ইনিংসে ৫৮.৬৩ গড়ে করেছেন ৪৬৯ রান। এ সময়ে তার ব্যাটে এসেছে পাঁচ হাফ সেঞ্চুরি। তবে মাঠে রানের চেয়ে তার বেপরোয়া আচরণই এখন বেশি আলোচিত-সমালোচিত। দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন। দ্বিতীয় দফায় তার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে আগামীকাল আবাহনীর বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে।
দারুণ ফর্মে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরোয়া থেকে ইউরোপিয়ান ফুটবল- প্রতিটি জায়গাতেই দাপট দেখিয়ে চলেছে কোচ জাবি আলোনসোর শিষ্যরা। লা লিগায় এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে জিতেছে ৮টিতেই। হার বলতে একটিতে।
২ ঘণ্টা আগেদারুণ সময় কাটছে আর্সেনালের। আগে থেকেই জয়ের ছন্দে ছিল কোচ মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। ছুটে চলছিল জয়ে রথে চেপে। তার ধারাবাহিকতায় চ্যাম্পিয়নস লিগে তুলে নিয়েছে আরও একটি বড় জয়। ইংলিশ জায়ান্ট ক্লাবটি ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে। সব ধরনের টুর্নামেন্ট মিলিয়ে এনিয়ে টানা ছয় ম্যাচে জয় পেল ক্লাবটি।
২ ঘণ্টা আগেবার্সেলোনাকে হারানোর পর থেকেই সময়টা যেন ভালো যাচ্ছিল না। মাঠের পারফরম্যান্সে কোথায় যেন খেই হারিয়ে ফেলেছিল পিএসজি। ফরাসি লিগ ওয়ানে হোঁচট খেয়ে বসে পরপর দুই ম্যাচে। স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে ছয় গোলের থ্রিলার ম্যাচে জয়বঞ্চিত হয়েছে দলটি।
২ ঘণ্টা আগেবাবা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো ছেলেও খেলবেন পর্তুগালের জাতীয় দলে। স্বপ্নের সেই পথে একটু একটু করে এগোচ্ছেন তনয় ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র। গত মে’তে পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৫ দলে জায়গা পেয়েছিলেন।
৬ ঘণ্টা আগে