পার্থ রায়
নাসুম আহমেদের তৃতীয় শিকারে পরিণত হয়েছেন ব্রান্ডন কিং। তাতে ৩৫ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফেরার আগে ব্রান্ডন কিংয়ের ব্যাটে আসে ১৮ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ-২৮/২ (৬.২ ওভার)
নাসুমের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন আকিম অগাস্টি। কোন রান করার আগেই আউট হয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ২৯৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ১৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন আলিক আথানজি। ফেরার আগে তার ব্যাটে এসেছে ১৫ রান।
শুরুর দিকে যেভাবে শুরু করেছিল তাতে বাংলাদেশের রান ৩০০ ওপারে যাওয়া ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। ইনিংসের শেষদিকে ব্যাটিং কলাপ্সের সুবাদে আর ৩০০'র ওপারে যেতে পারেনি বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৯১ রান আসে সৌম্য সরকারের ব্যাটে। এছাড়া ৮০ রান করেন সাইফ হাসান। শেষ দিকে ১৭ বলে ১৭ রান করেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। তাতে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২৯৬ রানে। উইন্ডিজদের জয়ের জন্য দরকার ২৯৭ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আকিল হোসেইন ৩৮ রানে নেন চার উইকেট।
নাজমুল হোসেন শান্তর পর আউট হন রিশাদ হোসেন, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও নাসুম আহমেদ। তাতে ৮ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ হারিয়ে বসে ৪ উইকেট।
নাসুম আহমেদ ফিরেছেন ২ বলে ১ রান করে।
শান্তর বিদায়ের পর এবার আউট হলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ফেরার আগে তার ব্যাটে এসেছে ৬ রান। আকিল হোসেইনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।
এর দুই বল পর আউট হন রিশাদ হোসেন। ৬ বলে ৩ রান করেছেন রিশাদ।
বাংলাদেশ-২৫২/৪ (৪৩.৩ ওভার)
দুই দুইবার জীবন পেয়েও নিজের ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি আউট হয়েছেন ৪৪ রানের মাথায়। তার ইনিংসে ছিল তিন ছক্কা।
বাংলাদেশ-২৩১/৩ (৩৯.৫ ওভার)
৪৪ বলে ২৮ রান করে আউট হয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। সৌম্য-সাইফরা যেখানে টি-টোয়েন্টি স্টাইলে রান তুলেছেন, সেখানে হৃদয় ছিলনে স্রোতের বিপরীতে। তার ৪৩ বলের স্ট্রাইকরেট ছিল ৬৩.৬৩। ইনিংসে ছিল মোটে ২ চার। ফেরার আগে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন তিনি।
ওয়ানডেতে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ১৪ হাঁকানোর রেকর্ড আছে বাংলাদেশ। সেই রেকর্ড ভাঙতে বাংলাদেশের দরকার আর মাত্র ৪ ছক্কা। আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে ১১ ছক্কা হাঁকিয়েছে। এটা যৌথভাবে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ ছক্কা।
বাংলাদেশ- ১৮১/২ (২৮.১ ওভার)
ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার হয়ে ফিরলেন সৌম্য সরকার। এর আগে ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৯০ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। এবার সৌম্য আউট হলেন ৯১ রানে। তার ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ৪ ছক্কা।
১৭৬ রানের মাথায় বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন। ৭২ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলে আউট হলেন সাইফ হাসান। তার ইনিংসে ছিল ৬ টি করে চার ও ছক্কা।
বাংলাদেশ-১৭৬/০ (২৫ ওভার)
১৯৯৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৭০ রানের জুটি গড়েন শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুত ও মেহেরাব হোসেন অপি। এতোদিন এটাই ছিল ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। এবার সেই রেকর্ড ভাঙলেন সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার।
বাংলাদেশ- ১৫৬/০ (২২ ওভার)
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এর আগে ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ১৪৪ রান। ওই রেকর্ডে ছিলেন সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবাল। এবার সেই রেকর্ড ভাঙলেন সাইফ-সৌম্য। এছাড়া ওয়ানডে ইতিহাসে ৬ষ্ঠবারের মতো ওপেনিং জুটিতে দেড়শ রানের সংগ্রহ পেল বাংলাদেশ। এর আগে ২০২০ সালে লিটন দাস ও তামিম ইকবাল ২৯২ রানের জুটি পেয়েছিল। এটাই ছিল ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের সবশেষ দেড়শ কিংবা তার চেয়ে বেশি রানের জুটি।
বাংলাদেশ- ১০৩/০ (১৫.৩ ওভার)
ঠিক ৩১ মাস ও ৪৫ ম্যাচ পর ওপেনিংয়ে শতরানের জুটি দেখল বাংলাদেশ। এর আগে ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে লিটন দাস ও তামিম ইকবাল মিলে শতরানের জুটি গড়েছিল। ওই ম্যাচে আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশকে জয়ের জন্য ১০২ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল। লিটন-তামিম ওপেনিং জুটিতে ১০২ রান তুলে ম্যাচ শেষ করেছিল। আজ মিরপুরে সৌম্য সরকার-সাইফ হাসান মিলে শতরানের জুটি গড়লেন।
সৌম্য সরকার ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। তিনি অপরাজিত ৫৩ রানে। সাইফ হাসান অপরাজিত আছেন ৪৭ রানে।
মিরপুরে বাংলাদেশ সবশেষ সেঞ্চুরি জুটি পেয়েছিল ২০২২ সালে ভারতের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে ৭ম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ১৪৮ রানের জুটি গড়েন। মিরপুরে বাংলাদেশ ওপেনিং জুটিতে সবশেষ সেঞ্চুরি পেয়েছিল ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর। ওই ম্যাচে ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবাল ১৪৭ রানের জুটি গড়েছিলেন।
সবশেষ ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে শারজায় ওপেনিং জুটিতে ফিফটির দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের হিসেবে ১৩ ম্যাচ পর ফের ওপেনিংয়ে ফিফটির দেখা পেল স্বাগতিকরা। সেবার ওপেনিং জুটিতে ৫৩ রান তুলেছিলেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। এবার ওপেনিং জুটিতে আছেন সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান।
অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশ একাদশ-
মেহেদি হাসান মিরাজ, সৌম্য সরকার, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাইফ হাসান, নুরুল হাসান সোহান, তাওহিদ হৃদয়, মোস্তাফিজুর রহমান, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ-
ব্রান্ডন কিং, আলিক আথানজি, কেসি কার্টি, শাই হোপ, আকিম অগাস্টি, শেরফন রাদাফোর্ড, জাস্টিন গ্রিভস, রোস্টন চেজ, আকিল হোসেন, খাইরি পিয়েরি, গুদাকেশ মোতি।