ওপেনিং জুটিতে যোগ হলো ৬৬ রান। প্রথম সেশনে যেভাবে সামনে বাড়ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তাতে মনে হচ্ছিল বড় স্কোরের পথেই হাঁটছে তারা। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে সেই যে গোত্তা খেল, ওতেই ইনিংস শেষ মাত্র ২০৫ রানে। অথচ এই দলের রান ছিল একসময় তিন উইকেটে ১৫৩। শেষের সাত উইকেট হারায় সফরকারীরা মাত্র ৫২ রানে। গুটিয়ে যায় ২০৫ রানে। জবাবে দিনের ৯ ওভার ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলেছে ২৫ রান। ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম দিনের ক্রিকেটের গল্প এটি।
আর এই গল্পের সবচেয়ে রঙিন অংশজুড়ে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের দুই পেসার, ব্রেয়ার টিকনার ও জীবনের প্রথম টেস্ট খেলতে নামা মিচেল রায়ে। দুবছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে টিকনার পান ৩২ রানে চার উইকেট এবং নিজের অভিষেক টেস্ট আলোকিত করে রাখলেন মিচেল রায়ে ৬৭ রানে তিন উইকেট শিকার করে। এ দুই কিউই পেসারের বোলিং তোপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস মামুলি রানে আটকে যায়।
জন ক্যাম্পবেল ও ব্রেন্ডন কিং ওপেনিং জুটিতে যেভাবে শুরু করেছিলেন, তাতে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু ৯৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সুন্দর শুরুর সেই ছন্দ হারিয়ে বসে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে সাঁই হোপ ও রোস্টন চেজ ৬০ রান যোগ করেন। মনে হচ্ছিল ধাক্কা সামলে নিয়ে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের শেষ ইনিংসের মতোই বড় স্কোরের দিকে ছুটছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু টিকনার ও রায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই সামনের এগিয়ে চলার পথ বন্ধ করে দিলেন। দুজনে মিলে সাত উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বেঁধে ফেললেন ২০৫ রানে। ওপেনার ক্যাম্পবেল ৪৪ এবং সাঁই হোপের ৪৮ রান ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বলার মতো আর কারো কোনো স্কোর নেই।
শেষ বিকালে মাত্র ৯ ওভার খেলার সুযোগ পায় নিউজিল্যান্ড। বিনা উইকেটে ২৫ রান তুলে প্রথম দিন পার করে তারা। এই টেস্টে পাঁচটি বদল নিয়ে খেলছে নিউজিল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের একাদশে বদল এসেছে তিনটি। কারণ-ইনজুরি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ২০৫/১০ (৭৫ ওভারে, ক্যাম্পবেল ৪৪, হোপ ৪৮, টিকনার ৪/৩২, রায়ে ৩/৬৭)।

