সুদানে আরএসএফের ‘গণহত্যা’, পালিয়েছে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ৫০
সুদানে আরএসএফের তাণ্ডবে এল-ফাশার থেকে পালিয়ে তাওলিয়া শহরে আসা লোকজনের একাংশ। ছবি : এএফপি

সুদানে আধা-সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গত সপ্তাহে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ এল-ফাশার শহর দখলে নেয় এই বিদ্রোহী বাহিনী। এরপর শহরটি থেকে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।

এর আগে ১৮ মাস ধরে এল-ফাশার শহর অবরুদ্ধ করে রাখে আরএসএফ। এরপর শুরু করে ভারি বোমাবর্ষণ। এ সময় গোষ্ঠীটি গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিজ্ঞাপন

ইউএনএইচসিআরের ইউজিন বাইউন জানিয়েছেন, এল-ফাশারে সহিংসতার পর সেখান থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার পশ্চিমের তাওইলা শহরে পালিয়ে আসা লোকজনের সংখ্যা গত কয়েক দিনে বেড়েছে। তারা ধর্ষণ ও নৃশংসতার ভয়াবহ গল্প শোনান। প্রতিটি শিশু অপুষ্টিতে ভুগছিল। তাদের জন্য পর্যাপ্ত আশ্রয় ও খাবারের জন্য ইউএনএইচসিআর লড়াই করছে বলে জানান তিনি।

ধারণা করা হচ্ছে, দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলে সেনাবাহিনীর শেষ শক্ত ঘাঁটি এল-ফাশারে এখনো দেড় লাখের বেশি মানুষ আটকে আছে।

তবে এল-ফাশারে হত্যাকাণ্ড জাতিগতভাবে অনুপ্রাণিত এবং আরব আধাসামরিক বাহিনী অনারব জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা অস্বীকার করেছে আরএসএফ।

সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে ক্ষমতার জন্য ভয়াবহ লড়াই শুরু হওয়ার পর ২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদান গৃহযুদ্ধে নিমজ্জিত হয়। এর ফলে পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয়।

দেশজুড়ে সংঘাতে দেড় লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। জাতিসংঘ একে বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকট আখ্যা দিয়েছে। সূত্র : বিবিসি

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

সুদান
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত