তিউনিসিয়ার বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী সাইমা ইসাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিতর্কিত মামলায় তার ২০ বছরের কারাদণ্ড কার্যকর করতে রাজধানী তিউনিসে বিক্ষোভ-সমাবেশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।
শুক্রবার ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র’ এবং ‘একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত থাকার’ অভিযোগে অনেক বিরোধী নেতাকে ৪৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
৩৭ জনের মধ্যে বেশিরভাগ অভিযুক্তকে ২০২৩ সালে গ্রেপ্তারের পর কারাদণ্ড দেয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাতের অভিযোগ আনা হয়। প্রাথমিক বিচারে এপ্রিলে মাত্র তিনটি শুনানির পর এবং কোনো যুক্তি উপস্থাপন ছাড়াই তাদের ৬৬ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
ডানপন্থিরা এই বিচারকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে নিন্দা করেছে। অন্যদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, আপিল নিষ্পত্তি করে আসামীদের ১০ থেকে ৪৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সবচেয়ে কঠোর শাস্তি দেয়া হয়েছে ব্যবসায়ী কামেল লতাইফকে। প্রথম দফায় দেয়া সাজা ৬৬ বছর থেকে কমিয়ে তাকে ৪৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিরোধী রাজনীতিবিদ খায়াম তুর্কির সাজা ৪৫ বছর থেকে কমিয়ে ৩৫ বছর হয়েছে।
বিশিষ্ট বিরোধী নেতা জওহর বেন এমবারেক, গাজী চৌউচি, রিধা বেলহাজ এবং ইসাম চেব্বির সাজা ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২০ বছর করা হয়েছে। বেন এমবারেক তার আটকের প্রতিবাদে এক মাস ধরে অনশন করছেন। তিনি এ সাজাকে স্বেচ্ছাচারী এবং অন্যায় বলে অভিহিত করেছেন।
আরএ


ইমরান খানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় পরিবার