মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত ফোনালাপে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো জানিয়েছেন, তিনি এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে পূর্ণ আইনি ক্ষমা, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মামলা বন্ধের নিশ্চয়তা পেলে তিনি ভেনেজুয়েলা ত্যাগ করতে রাজি। এসব তথ্য কল সম্পর্কে ব্রিফ করা একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েক মাস ধরে ওয়াশিংটন ভেনেজুয়েলার ওপর চাপ বাড়াচ্ছে—মাদক চোরাচালানের অভিযোগে সামরিক চাপ, সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের হুমকি এবং মাদুরোকে অন্তর্ভুক্ত করে বলে দাবি করা ‘কার্টেল দে লস সোলস’–কে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণার প্রক্রিয়া সেই চাপের অংশ। মাদুরো এসব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নিতে শাসন পরিবর্তন চাইছে।
ফোনালাপে মাদুরো ১০০ জনেরও বেশি ভেনেজুয়েলার কর্মকর্তার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধও করেন। আরেকটি প্রস্তাব ছিল—নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রদ্রিগেজকে অন্তর্বর্তীকালীন নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া।
ট্রাম্প তাদের বেশিরভাগ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলেও মাদুরোকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পছন্দের দেশে চলে যাওয়ার জন্য এক সপ্তাহের নিরাপদ পথ দেওয়ার কথা জানান। সেই সময়সীমা শুক্রবার শেষ হয়ে গেলে ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেন বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।
মাদুরো পরে জনসম্মুখে ভেনেজুয়েলার জনগণের প্রতি “পরম আনুগত্য” শপথ করলেও, তিনি ভবিষ্যতে নতুন কোনো প্রস্তাব দেবেন কি না তা স্পষ্ট নয়। তবু মার্কিন প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ আলোচনার সাথে যুক্ত কিছু সূত্র বলছে—আলোচনার মাধ্যমে মাদুরোর প্রস্থানের সম্ভাবনা পুরোপুরি বাতিল হয়নি।
সূত্র বলছে, মাদুরো প্রশাসন ইতোমধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে আরেকটি ফোনালাপের অনুরোধ করেছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোর গ্রেফতারের তথ্যের জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার এবং সরকারের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক পুরস্কার ঘোষণা করেছে। অভিযোগগুলো তারা সবাই অস্বীকার করেছেন।

