মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি সোমবার কায়রোতে পূর্ব লিবিয়ার কমান্ডার খলিফা হাফতারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎকালে সিসি লিবিয়ার সার্বভৌমত্ব, স্থিতিশীলতা এবং আঞ্চলিক একতার প্রতি মিসরের পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
হাফতার তার ডেপুটি সদ্দাম খলিফা এবং প্রধান কর্মকর্তা খালেদ খলিফা সহ সাক্ষাৎকারে উপস্থিত ছিলেন। মিশরের গোয়েন্দা প্রধান হাসান রাশাদও সেখানে ছিলেন।
প্রেসিডেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিসি লিবিয়ায় সকল বিদেশি হস্তক্ষেপ মোকাবেলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং সব বিদেশি সেনা ও ভাড়াটে সৈন্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে মিশর লিবিয়ার স্থিতিশীলতা ও একতার প্রতি সম্পূর্ণ সমর্থন জারি রাখবে।
প্রেসিডেন্ট আরো বলেন যে, লিবিয়ার সংকট সমাধানের জন্য সকল উদ্যোগকে মিশর সমর্থন করবে, বিশেষ করে সেই উদ্যোগগুলোকে, যা একসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ও সংসদীয় নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করছে।
হাফতার মিশরের “কেন্দ্রীয় ভূমিকা” এবং লিবিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রতি সিসির ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। এছাড়াও হাফতার লিবিয়ান জনগণের প্রতি কায়রোর চলমান সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বর্তমানে জাতিসংঘের মিশন লিবিয়ায় নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব সমাধানের চেষ্টা করছে।
লিবিয়া এখনো দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রশাসনের মধ্যে বিভক্ত: একটি, পশ্চিম লিবিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা ত্রিপোলি ভিত্তিক প্রশাসন, যার নেতৃত্বে আছেন আব্দুল হামিদ দবিবে, এবং অন্যটি পার্লামেন্ট দ্বারা ২০২২ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসন, যার নেতৃত্বে আছেন ওসামা হাম্মাদ এবং যা পূর্ব লিবিয়া ও দক্ষিণের অনেক অংশ শাসন করে।
সিসি এবং হাফতার আঞ্চলিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে সুদানের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। উভয় পক্ষই আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা তীব্র করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন, যাতে সুদানের স্থিতিশীলতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক একতা রক্ষা পায়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সুদানের স্থিতিশীলতা মিশর ও লিবিয়ার জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হয়েছে। যা হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
এসআর

