ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক বাণিজ্য অনিশ্চয়তা ও যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর আমদানি শুল্কের চাপে পড়ে ভারত এখন তড়িঘড়ি করে একের পর এক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) চূড়ান্ত করার পথে হাঁটছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি ভারতের দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য অনিশ্চয়তায় মার্কিন শুল্কের প্রভাব এড়াতে কৌশলগত হাতিয়ার ।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে এসেছে, আগস্টে কার্যকর হওয়া ৫০ শতাংশ মার্কিন আমদানি শুল্ক ভারতের বস্ত্র, গাড়ির যন্ত্রাংশ, ধাতু ও শ্রমনির্ভর শিল্পে বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে। এর ফলে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে এবং সরকার বাধ্য হয়ে বিকল্প বাজার খোঁজার তৎপরতা বাড়িয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, নিউজিল্যান্ড, চিলি ও ওমানের সঙ্গে দ্রুত চুক্তির উদ্যোগ সেই চাপেরই ফল।
বাণিজ্য বিশ্লেষক অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, ভারত এফটিএকে কৌশলগত হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, যাতে উচ্চ ও অনিশ্চিত মার্কিন শুল্কের প্রভাব কমানো যায়। বর্তমানে ভারতের ১৫টি এফটিএ কার্যকর, ৬টি অগ্রাধিকারমূলক আলোচনা চলছে এবং ৫০টিরও বেশি অংশীদারের সঙ্গে নতুন চুক্তি আলোচনা চলছে। শেষ হলে, চীনের বাইরে প্রায় সব প্রধান অর্থনীতির সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর হবে।
চীনকে বাদ দিয়ে প্রায় সব বড় অর্থনীতির সঙ্গে চুক্তি করার দাবি ভারতের কূটনৈতিক ভারসাম্যহীনতাও প্রকাশ করে। মার্কিন শুল্কচাপ সামাল দিতে গিয়ে ভারত যে বাণিজ্য নীতিতে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান হারাচ্ছে, তা ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক স্বার্থের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

