একের পর এক পদত্যাগে বিপাকে ম্যাক্রোঁ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০০: ৪৫

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর অনুগত, বিনয়ী ও অপ্রতিরোধ্য এক সহচর ছিলেন ৩৯ বছর বয়সি সেবাস্তিয়ান লেকর্নু। মাত্র ২৬ দিন আগে যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন, তখন ধারণা করা হচ্ছিল এটাই প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর শেষ তুরুপের তাস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাক্রোঁর শেষ অস্ত্রও সফল হতে পারেনি।

মাত্র ১৪ ঘণ্টা স্থায়ী ছিল লেকর্নু সরকার। এমনকি মঙ্গলবারের জন্য পরিকল্পিত সংসদ অধিবেশনে নিজের উদ্বোধনী ভাষণও দিতে পারেননি তিনি।

বিজ্ঞাপন

ফ্রান্সের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার জটিল সমস্যা সমাধান করতে এবং দেশটির রাজনীতিকে বিপদ থেকে বাঁচাতে যা যা প্রয়োজন, লেকর্নু তা করতে সক্ষম হবেন বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই আশাও বাস্তব হলো না।

এমনকি লেকর্নু তার আগের দুই প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বেশি বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন। লেকর্নুর আগে মিশেল বার্নিয়ার এবং ফ্রাঁসোয়া বেরু অন্তত তাদের সরকারের সঙ্গে কিছু সময়ের জন্য হলেও দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। অন্যদিকে, লেকর্নু রোববার তার মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করেন এবং পরদিন সোমবার সকালের মধ্যেই তিনি তা হারিয়ে ফেলেন।

২০২৭ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকার কথা ম্যাক্রোঁর। কিন্তু গত দুই বছরের মধ্যে পঞ্চম প্রধামন্ত্রী হিসেবে লেকর্নুর পদত্যাগের পর ম্যাক্রোঁর শেষ মেয়াদকাল পূর্ণ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

তবে সোমবার পর্যন্ত নিজের খারাপ পরিণতি এড়াতে ম্যাক্রোঁকে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে মনে হয়েছিল। বিদ্যমান সংকট থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে বের করতে বিরোধী দলের সঙ্গে শেষ মুহূর্তের আলোচনার জন্য লেকর্নুকে দুদিন সময় দিয়েছিলেন ম্যাক্রোঁ।

লেকর্নুকে শেষবারের মতো চেষ্টা করার অনুরোধ করে নিজের সামনে থাকা বিকল্পগুলোর প্রতি নিজের অনীহার ইঙ্গিত দেন ম্যাক্রোঁ। দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ম্যাক্রোঁকে হয় নতুন সংসদীয় নির্বাচনে অতি রক্ষণশীলদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে নতুবা প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে হবে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার ম্যাক্রোঁর ওপর অনেক চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধি দলের বৈঠক

শুক্র-শনিবারও চলবে বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম

প্রধান উপদেষ্টার আদেশে জুলাই সনদের আইনি রূপ দিতে হবে

নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা শুরুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

আইআরআই’র সঙ্গে নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে আলোচনা এনসিপির

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত