গাজা উপত্যকায় সংঘাতের এক পর্যায়ে ইসরাইলে সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কানাডা। তবে স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও মার্কিন অস্ত্র কারখানার মাধ্যমে গোপনে ইসরাইলে কানাডার সামরিক যন্ত্রাংশ যাচ্ছে এমন অভিযোগ উঠেছে। তার প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে সংস্থাটির মুখপাত্র সামান্থা লাফ্লুর বলেন, এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে লাফ্লুর জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ৮ জানুয়ারির পর থেকে ইসরাইলের জন্য এমন কোনো নতুন রপ্তানি অনুমতি অনুমোদিত হয়নি।
এর আগে ‘যুক্তরাষ্ট্রের গোপন পথ প্রকাশ: কানাডার এফ-৩৫ যন্ত্রাংশ এবং বিস্ফোরক কীভাবে ইসরাইলে পৌঁছায়’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, কানাডার অস্ত্র প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে মার্কিন অস্ত্র কারখানায় শত শত চালান গেছে, যা পরবর্তীতে ইসরাইলের যুদ্ধবিমান, বোমা ও কামান তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়া ইউরোপীয় তৈরি টিএনটি যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর কয়েক দিনের মধ্যেই ইসরাইলে পাঠানোর প্রক্রিয়ায় কানাডা ‘ট্রানজিট করিডোর’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়ে সতর্কতা জানিয়ে এসেছে। ওয়ার্ল্ড বিইউন্ড ওয়ার-এর র্যাচেল স্মল বলেছেন, ‘সরকার দাবি করলেও বাস্তবে কানাডার সামরিক পণ্য ইসরাইলে গিয়েছে। এছাড়ও নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এমপি জেনি কোয়ানের মতে, সরকারের এমন অজ্ঞতার দাবি আর গ্রহণযোগ্য নয়।

