পাক-ভারত সংঘাতে চীনা ক্ষেপণাস্ত্রের সাফল্য, বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প যুক্তরাষ্ট্রের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ২০: ১৩

পাকিস্তান সম্প্রতি চীনের তৈরি পিএল-১৫ দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার পর, যুক্তরাষ্ট্র তাদের পরবর্তী প্রজন্মের আকাশ-থেকে-আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এআইএম-২৬০ (AIM-260) দ্রুত মোতায়েনের লক্ষ্যে প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট চেয়েছে।

শনিবার পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

এই অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিরক্ষা কোম্পানি লকহিড মার্টিন। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী যৌথভাবে ২০২৬ অর্থবছরের জন্য এই বাজেট বরাদ্দ চেয়েছে।

বাজেট নথি অনুযায়ী, বিমান বাহিনী এআইএম-২৬০ বা যৌথ উন্নত কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্রের প্রাথমিক উৎপাদনের জন্য ৩৬৮ মিলিয়ন ডলার এবং অতিরিক্ত ৩০০ মিলিয়ন ডলার চেয়েছে, যা "অ-তহবিলপ্রাপ্ত অগ্রাধিকারের তালিকা"-তে অন্তর্ভুক্ত। নৌবাহিনী আলাদাভাবে চেয়েছে ৩০১ মিলিয়ন ডলার।

বিশ্লেষকদের মতে, এআইএম-২৬০ প্রকল্পটি ভবিষ্যতে ৩০ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্পে পরিণত হতে পারে। এটি প্রতিস্থাপন করবে ১৯৯৩ সালে চালু হওয়া এআইএম-১২০ অ্যামরাম ক্ষেপণাস্ত্রকে।

মে মাসে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান চীনের পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করে, যার পাল্লা ছিল ১০০ মাইলের বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনার পরই যুক্তরাষ্ট্রে উন্নত পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির উদ্যোগে গতি আসে।

পেন্টাগনের প্রতিবেদন অনুসারে, চীনের নতুন পিএল-১৭ ক্ষেপণাস্ত্র ৪০০ কিলোমিটার (২৪৮ মাইল) দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

মার্কিন বিমান বাহিনী জানিয়েছে, এআইএম-২৬০ বিদ্যমান যেকোনো আকাশ-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় বেশি পরিসীমা ও কার্যকারিতা প্রদান করবে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আধুনিক যুদ্ধবিমান যেমন এফ-২২ এবং এফ-৩৫ এর অভ্যন্তরীণ অস্ত্র ধারকের উপযোগী করে তৈরি করা হচ্ছে। একইসাথে, এটি এফ-১৬ এবং এফ-১৫ বিমানেও ব্যবহার করা যাবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া ও চীনের আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের এই অস্ত্র উন্নয়ন একটি কৌশলগত প্রতিরক্ষা পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত