চাঁদে পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১৩: ৫৪
ছবি: বিবিসি

চাঁদে পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করবে দেশটির মহাকাশ সংস্থা নাসা। খবর বিবিসির।

চাঁদের পৃষ্ঠে মানুষের বসবাসের জন্য একটি স্থায়ী ঘাঁটি তৈরি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে নাসার বাজেট হ্রাসের কারণে লক্ষ্য এবং সময়সীমা কতটা দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। কোন কোন বিজ্ঞানীর ধারনা যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক লক্ষ্য পুরণে এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ভারত এবং জাপানসহ বিভিন্ন দেশ চাঁদের পৃষ্ঠ নিয়ে গবেষণা করছে। কয়েকটি দেশ সেখানে স্থায়ী মানব বসতি স্থাপনের পরিকল্পনাও করছে।

এ উদ্যোগ চাঁদে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বাড়ানো এবং চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার কৌশলের অংশ বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম পলিটিকো।

যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী ও নাসার অস্থায়ী প্রধান শন ডাফি বলেছেন, ‘ভবিষ্যতের চন্দ্র অর্থনীতি, মঙ্গল গ্রহে উচ্চ শক্তি উৎপাদন এবং মহাকাশে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিতে, সংস্থাটির দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য।’

পলিটিকোর হাতে আসা অভ্যন্তরীণ নথির বরাতে জানানো হয়েছে, নাসা বেসরকারি খাতের কাছে ১০০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পারমাণবিক চুল্লি তৈরির প্রস্তাব দেবে, যা চাঁদের মাটিতে দীর্ঘমেয়াদি মিশনে শক্তি সরবরাহ করতে পারবে। ভবিষ্যতে মানুষসহ চন্দ্রাভিযানের জন্য এটি সহায়ক হবে।

চাঁদে বিদ্যুতের উৎস হিসেবে পারমাণবিক চুল্লি তৈরির ধারণাটি নতুন নয়।

চলতি বছরের মে মাসে চীন ও রাশিয়া ঘোষণা দেয়, তারা ২০৩৫ সালের মধ্যে চাঁদে একটি স্বয়ংক্রিয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।

এরফলে চন্দ্রপৃষ্ঠে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সর্বোত্তম বা সম্ভবত একমাত্র উপায় হবে বলে মনে করছেন অনেক বিজ্ঞানী।

নাম প্রকাশ না করে নাসার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পলিটিকোকে বলেন, ‘এটা দ্বিতীয় মহাকাশ দৌড়ে জয়ী হওয়ার বিষয়।’ নাসাকে ৬০ দিনের মধ্যে একটি প্রকল্প নেতৃত্ব নির্বাচন এবং শিল্পখাতে আলোচনা শুরু করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চুল্লিটি ২০৩০ সালের মধ্যেই চালু করার লক্ষ্য নেয়া হয়েছে, যে সময়ের কাছাকাছিই চীন তাদের প্রথম নভোচারীকে চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।

আরএ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত