ট্রাম্প প্রশাসন বুধবার এমন একটি পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে, যার মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম প্রধান জলবায়ু গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলা হবে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাটমোসফেরিক রিসার্চ (এনসিএআর) ১৯৬০ সালে বোউল্ডার কলোরাডোতে একটি সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণা ও শিক্ষামূলক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা ভেঙে ফেলা হবে। ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
১৯৬০ সালে কলোরাডোর বোউল্ডারে সরকারি অর্থায়নে গবেষণা ও শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করা এনসিএআর দীর্ঘদিন ধরে জলবায়ু ও বায়ুমণ্ডল সংক্রান্ত গবেষণায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। হোয়াইট হাউসের অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেটের পরিচালক রাস ভোগট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে জানান, কেন্দ্রটির যেসব কার্যক্রম ‘জরুরি’ হিসেবে বিবেচিত হবে, সেগুলো অন্য সংস্থা বা স্থানে স্থানান্তর করা হতে পারে।
ভোগট দাবি করেন, এনসিএআর দেশের অন্যতম বড় ‘জলবায়ু আতঙ্ক ছড়ানো’ উৎস। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডে জানিয়েছে, কেন্দ্রটি ভেঙে দেওয়ার প্রক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে শুরু হবে এবং এর মেসা ল্যাবরেটরি পুরোপুরি বন্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনসিএআর-এর খ্যাতনামা গবেষক কেভিন ট্রেনবার্থ ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, ল্যাবরেটরিটি বন্ধ হয়ে গেলে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বড় ধরনের ক্ষতি হবে। নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অনারারি শিক্ষক ট্রেনবার্থ আরও বলেন, আধুনিক জলবায়ু বিজ্ঞান উন্নয়নে এই কেন্দ্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ডেমোক্র্যাটিক পূর্বসূরি জো বাইডেনের আমলে গৃহীত পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও জলবায়ু উদ্যোগগুলো প্রত্যাহারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি বরাবরই জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছেন। এমনকি গত সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে দেওয়া এক ভাষণে জলবায়ু পরিবর্তনকে ‘পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রতারণা’ বলেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প।
এসআর
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

