পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা ও ভাগ্নি ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এদিকে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকের সাজা হওয়ার ঘটনা নিয়ে দেশটির মূলধারার গণমাধ্যমগুলো গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশের একটি আদালত দুর্নীতির অভিযোগে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে তার ‘অনুপস্থিতিতেই’ দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে সেখানে লেখা হয়েছে, তিনি তার খালা ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পরিবারের সদস্যদের জন্য প্লট বরাদ্দ দিতে প্রভাবিত করেছিলেন। এজন্য তাকে মামলার প্রধান আসামি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রসিকিউশন মামলায় সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন দণ্ডও চেয়েছিল।
বিবিসি শিরোনাম করেছে ‘টিউলিপ সিদ্দিক এমপিকে বাংলাদেশে কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে তার অনুপস্থিতিতে বিচারের পরে। বাংলাদেশে তার অনুপস্থিতিতে বিচারে লেবার এমপি ও সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের দুই বছরের কারাদণ্ড হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠে তাঁর পরিবারকে একটি প্লট দিতে খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর প্রভাব বিস্তারের জন্য টিউলিপকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। এ অভিযোগ তিনি জোরালোভাবে অস্বীকার করেছেন।
যুক্তরাজ্যের আরেক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট শিরোনাম করেছে ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির জন্য লেবার এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে’। বাংলাদেশে একাধিক মামলার আসামি হওয়ার পর টিউলিপ সিদ্দিকের গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সরকারের ‘সিটি মিনিস্টারের’ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
যুক্তরাজ্যের আরেক সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয়েছে ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির জন্য টিউলিপ সিদ্দিকের দুই বছরের কারাদণ্ড’। এর প্রতিক্রিয়ায় টিউলিপ বাংলাদেশের এই আদালতকে ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ আখ্যায়িত করে রায়কে নাকচ করেছেন বলেও প্রতিবেদনে ফলাও করে প্রকাশ করেছে তারা।

