অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বন্ডি সমুদ্র সৈকতে দুই বন্দুকধারীর হামলায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন। হামলাকারী দু’জন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। হামলার বিষয়ে তাদের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে চাঞ্চল্যকর বিবরণ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি ছোট ধূসর ইটের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন বাবা-ছেলে সাজিদ আকরাম ও নাভিদ আকরাম। বাড়িটি রাতের বেলায় ভ্রমণকারীদের জন্য ভাড়া দেয়া হত।
২৪ বছর বয়সী নাভিদ ও তার বাবা সাজিদ আকরাম পরিবারের কাছে দাবি করেছিলেন, তারা জার্ভিস বে-তে মাছ ধরতে যাচ্ছেন।
নাভিদের মা ভেরেনা জানান, রোববার ছেলের কাছ থেকে ফোন পেয়ে তিনি ভেবেছিলেন তারা সমুদ্রে সাঁতার ও স্কুবা ডাইভিং করছেন। সোমবার সকালে সাংবাদিকদের ভেরেনা বলেন, ‘সে (নাভিদ) বলেছিল, আমরা এখন খেতে যাচ্ছি, তারপর বাড়ি ফিরব, এখন খুব গরম।’
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রোববার বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে ক্যাম্পসির ব্রাইটন অ্যাভিনিউয়ের ১০৩ নম্বর বাড়ি থেকে প্রথমে সাজিদ, পরে নাভিদ বেরিয়ে আসেন। ধারণা করা হচ্ছে, কালো পোশাক পরা নাভিদ গাড়ির চালকের আসনে বসার আগে পেছনে কিছু ঢুকিয়ে রাখেন। গাড়িটি পূর্ব দিকে ৪০ মিনিট ধরে চলে। এর ৯০ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে বন্ডাই বিচে প্রথম গুলির শব্দ শোনা যায়।
নাভিদের মা জানান, ঘটনার ছবি দেখেও তিনি ছেলেকে শনাক্ত করতে পারেননি এবং বিশ্বাস করেন না যে তার ছেলে কোনো সহিংস বা উগ্র কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে। ভেরোনা বলেন, ‘সে বন্দুক রাখে না, বাইরে ঘোরাফেরা করে না, মাদক বা মদ্যপান করে না। কাজ আর ব্যায়ামই ছিল তার জীবন।’
নাভিদ দুই মাস আগে ইটভাটার কাজ হারান। তার কর্মস্থল প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল। তিনি নতুন কাজ খুঁজছিলেন। স্কুলজীবনে তার অনেক বন্ধু থাকলেও তিনি খুব সামাজিক ছিলেন না বলে জানান তার মা। মাছ ধরা, স্কুবা ডাইভিং ও শরীরচর্চা ছিল তার শখ।
নাভিদের মা একজন গৃহিণী এবং কাছেই বসবাস করা তার বৃদ্ধ মায়ের দেখাশোনা করেন। নাভিদ তার বাবা-মা, ২২ বছর বয়সী বোন ও ২০ বছর বয়সী ভাইয়ের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বনিরিগের তিন কক্ষের বাড়িতে থাকতেন। ২০২৪ সালে বাড়িটি কেনা হয়েছিল।


সিডনিতে বন্দুক হামলার ঘটনায় আরব দেশগুলোর নিন্দা
যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও লেবাননে ইসরাইলি হামলা, নিহত ৩