গাজা উপত্যকায় গত ২০ মাস ধরে চলমান গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল। দেশটি তীব্র সেনা সংকটে ভুগছে। তাই গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ভূমিকা পূরণ করছে নারীরা। বুধবার গণমাধ্যম মিডেলিস্ট মনিটার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার আগে, নারী সেনাদের দায়িত্ব মূলত সীমান্ত পাহারা ও পশ্চিম তীরে (যেটি আন্তর্জাতিকভাবে অবৈধভাবে দখল করা) চেকপয়েন্টে কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু দীর্ঘায়িত এই সামরিক অভিযান নারীদের গাজা, লেবানন ও সিরিয়ার মতো ফ্রন্টলাইনে পাঠাতে বাধ্য করছে।
গত মে মাসে ইসরাইলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে যে তাদের ১০ হাজারের বেশি সেনার ঘাটতি রয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে, কারণ গাজায় অভিযানে অংশ নেওয়া ৯ হাজারের বেশি রিজার্ভ সেনা বর্তমানে মানসিক ট্রমার চিকিৎসা নিচ্ছেন। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলোও দেখিয়েছে, এই যুদ্ধ সৈনিকদের উপর কতটা মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছে, যা দীর্ঘমেয়াদি সামরিক কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতাকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
এখন বলা হচ্ছে, ইসরাইলি যুদ্ধসেনাদের মধ্যে প্রতি পাঁচজনের একজন নারী। নারীরা এখন আরও বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করছেন, যাতে সেনা ঘাটতি পূরণ করা যায়।
এই পরিস্থিতির জবাবে, ইসরাইল সরকার এখন চরমপন্থি ইহুদি (Ultra-Orthodox) পুরুষদেরও বাধ্যতামূলক সামরিক সেবার আওতায় আনার চেষ্টা করছে।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট বহু পুরোনো ছাড় বাতিল করে দেওয়ার পর, সেনাবাহিনী প্রায় ১৩ শতাংশ জনসংখ্যার এই গোষ্ঠীকে সক্রিয় সামরিক সেবায় অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে।

