হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেল আবিব বিমানবন্দর বন্ধ

মোহাম্মদ শামসুদ্দীন
প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৫, ১৮: ০৭
তেল আবিব বিমান বন্দরের চিত্র (সংগৃহীত)

ইসরাইলের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইয়েমেন থেকে রোববার একটি মিসাইল আঘাত হানার পর বিমান উঠানামা বন্ধ হয়ে যায়।

সোমবার ১৯ মে সকালে মিডল ইস্ট মনিটর ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ কে উদ্বৃত করে এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞাপন

ইসরাইলের ইয়েদিওথ আহরোনোথ পত্রিকা জানিয়েছে, রোববার তেল আবিবের কেন্দ্র স্থলে, বিশেষ করে তেল আবিব, রিশন লে জিয়ন, লোদ, ব্যাট ইয়াম, পেতাহ টিকভা, রেহোভোট, রামাত গ্যান, বেনি ব্রাক, হার্জলিয়া, নেটানিয়া, রামাত হাশারন এবং রাণানায় বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে। এদিন সকালে ইসরায়েলি দখলদার সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে তারা মিসাইলটি প্রতিহত করেছে।

ইসরাইলের জরুরি সেবা মাগেন ডেভিড অ্যাডম জানিয়েছে, তেল আবিবের দক্ষিণে অবস্থিত ব্যাট ইয়াম শহরে আশ্রয়ে পালানোর সময় কমপক্ষে একজন আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে শনিবার বিমান হামলার সাইরেন সক্রিয় হয়ে ওঠায় তাদের বিমান বাহিনী পূর্ব থেকে ছোঁড়া একটি ড্রোন প্রতিহত করেছে। অন্যদিকে, ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী দাবি করেছে যে তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করে দুটি ব্যালিস্টিক মিসাইল এবং একটি ড্রোন ছুড়েছে।

হুথি জানিয়েছে, তেল আবিবের পক্ষ থেকে তাদের নেতা আবদুল-মালিক আল-হুথিকে হত্যার হুমকি ও শুক্রবার সন্ধ্যায় পশ্চিম ইয়েমেনের হুদায়দাহ এবং সালিফ বন্দরে ইসরায়েলি বিমান হামলার জবাবে এই হামলা চালায়।

তারা বলছে, তাদের হামলা গাজায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে এবং যতদিন তেল আবিব ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাবে ততদিন তারা হামলা চালিয়ে যাবে।

গাজায় ইসরায়েলের চলমান সামরিক হামলায় এখন পর্যন্ত ১,৭৪,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও নারী। আরো ১১,০০০ জন নিখোঁজ, যাদের মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে এভিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, কেএলএম রয়্যাল ডাচ এয়ারলাইন্স, উইজ এয়ার এবং এসএএস স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এয়ারলাইন্সসহ বিভিন্ন এয়ার লাইন্স তেল আবিব বেন গুরিওনে বিমান পরিষেবা পুনরায় চালুর পরিকল্পনা করছে।

এমএস

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত