রকীবুল হক
পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে ধর্মীয় কার্যক্রমে নানামুখী বাধা-বিঘ্ন ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। বিশেষ করে ৯০ শতাংশ মুসলমানের এ দেশে সবচেয়ে বেশি আঘাত আসে ইসলাম ধর্মের ওপর। চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার হন আলেম-ওলামা, ইমাম-খতিব ও ধর্মপ্রাণ মানুষ।
সরকারের অনুমতি ছাড়া সারাদেশে ধর্মীয় সভা-সমাবেশ ও ওয়াজ-মাহফিল এমনকি ঘরোয়া পরিবেশেও ধর্মীয় বিষয়ে বৈঠক করার কোনো সুযোগ ছিল না। আবার ধর্মীয় সব অনুষ্ঠানের অনুমতিও মিলত না সহজে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালাতে গিয়ে হামলা-মামলাসহ নানা হয়রানির শিকার হতেন সংশ্লিষ্টরা। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই সেই চিত্র পুরো পাল্টে গেছে। এখন নির্বিঘ্নে সবাই তাদের ধর্মীয় কর্মকাণ্ড চালাতে পারছেন।
রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের মতে, মূলত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে ভারতসহ আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন পেতে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের নাটক সাজাত। তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশকে অসাম্প্রদায়িক বানানোর চেষ্টা করত। তারা ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। সেই ফ্যাসিস্টদের পতনের মধ্য দিয়ে দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতাও ফিরে এসেছে। এই স্বাধীনতা ধরে রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক দিলারা চৌধুরী আমার দেশকে বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিল আমেরিকা ও বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ। শেখ হাসিনাও তার ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য পশ্চিমাদের বোঝানোর চেষ্টা করে যে, আমি ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ একটি জঙ্গি রাষ্ট্র হবে।
মৌলবাদীদের উত্থান হবে। এজন্য জঙ্গি নাটক সাজানো হতো। যেহেতু শেখ হাসিনা সরে গেছে, তাই যে ইসলামাফোবিয়া শুরু হয়েছিল সেটা আর থাকবে না। তাই যারা ইসলামি দল বা ধর্মীয় কর্মকাণ্ড, ওয়াজ মাহফিল করতেন তা নির্বিঘ্নে করতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তাদের নির্বাচনের মাধ্যমেই আসতে হবে। ফ্যাসিস্টরা যা করে একটি শত্রু গ্রুপ তৈরি করে তাদের দেশের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করতে থাকে। গণতান্ত্রিক সরকার এলে সেই শত্রু তৈরি করা লাগবে না। তাই বর্তমান পরিবেশ বহাল রাখতে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা জরুরি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, তারা (আওয়ামী সরকার) ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলত। তারা বলতেন, সব ধর্মীয় মানুষ তাদের ধর্ম নিরপত্তার সঙ্গে পালন করতে পারবেন। কিন্তু আমরা এর ব্যতিক্রম দেখেছি শুধু ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষেত্রে।
অন্য কোনো ধর্মের অনুষ্ঠানে বাধার খবর আমাদের জানা নেই। কিন্তু এ দেশের মানুষ হাজারও সাক্ষী- আওয়ামী লীগাররা জুমার মধ্যে খতিবের মাইক কেড়ে নিয়েছে, ওয়াজ-তাফসির মাহফিলে ইসলামিক স্কলারদের ওপর আঘাত করা হয়েছে। মাইক কেড়ে নিয়ে বক্তাকে টেনে-হিঁচড়ে স্টেজ থেকে নামানো হয়েছে। যখন নিজেরা পেরেছে করেছে, যখন পারেনি পুলিশ দিয়ে করেছে। এ ধরনের ঘটনা হাজার হাজার।
তিনি আরও বলেন, কার্যত তারা মুসলমানদের ওপর একটা ভীতিকর অবস্থা তৈরি করেছিল। ২০১৩-১৪ সালে তারা সরকারি বাহিনী দিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার করা শুরু করে যে এ দেশে জঙ্গিবাদ বেড়ে গেছে। জঙ্গিবাদের লক্ষণ হলোÑ যে বাসায় মহিলারা পর্দা করে, সন্তানরা মাদরাসায় যায় তারাই জঙ্গিবাদের মদতদাতা। পর্দানশীন মা-বোনদের জঙ্গি বানানো হয়েছে। এভাবে সমাজে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশতো সব ধর্মের মানুষের মধ্যে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের একটা দেশ। এখানে যেমন অত্যন্ত উদার ধার্মিক মুসলমানের সংখ্যা অনেক বেশি, অন্যান্য ধর্মের প্রতিও তারা উদার। কিন্তু বিগত সরকার ধর্মকে ব্যবহার করে ধর্ম পালনে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
রাজনৈতিক কারণে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে বিশ্বে ভাবমূর্তি বিনষ্ট করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। এই অবস্থা অব্যাহত রাখা উচিত সব ধর্মের মানুষের জন্য। যেসব অপপ্রচার চলছে তার বিরুদ্ধে সরকার, মিডিয়া ও সব নাগরিকের যথাযথ ভূমিকা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বাংলাদেশ সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। রাজনীতি যদি মতলববাজির হয় যেটা গত সরকারের আমলে হয়েছিল, তারা দেশটাকে একটা সাম্প্রদায়িক চেহারা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। জঙ্গিদের বিকাশ ঘটানোর চেষ্টা করেছিল, যাতে ভারতের বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মহলের সাপোর্ট আনা যায়।
সেই বাধাটা চলে গেছে। এখন সম্প্রীতির বাংলাদেশ আছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রকম উস্কানি সত্ত্বেও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন আছে। আমরা মনে করি, এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখতে হবে এবং বিশ্বাস করি এটা অক্ষুন্ন থাকবে। কারণ বাংলাদেশের মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িকতার চাষ নেই, বিজ নেই।
এবার সাম্প্রদায়িক উস্কানির মধ্যেও বাঙালি জাতি আরেকবার প্রমাণ করেছে যে, সাম্প্রদায়িক উস্কানির মধ্যেও স্থির থাকতে পারে। সমগ্র মানবগোষ্ঠীর প্রতি তাদের ভালোবাসাও অক্ষুন্ন রাখতে পারে। চেতনাই কেবল এটার গ্যারান্টি দিতে পারে। এর সঙ্গে অংশীজন তথা বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন, প্রশাসন সর্বোপরি সরকার যদি ঐক্যে থাকে তাহলে এখানে সাম্প্রদায়িকতার বিজ অঙ্কুরিত হবে না।
যে চেতনার উন্মেষ হয়েছে, আগামীতে যত বড় রাজনৈতিক শক্তিই ক্ষমতায় আসুক না কেন এই চেতনার বাইরে যাওয়া খুব সহজ হবে না। বর্তমানে যেসব দল মাঠে আছে তারা সবাই জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের কথা বলে। সে দলের যে নেতৃত্বই আসুক তারা চাইলেই এই চেতনা সহজে বাদ দিতে পারবে না।
ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ৫ আগস্টের আগে ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের ধর্মীয় কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে করতে দেয়নি। এখন মুসলমান-হিন্দু বা সব ধর্মের মানুষ তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারছেন।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার মানুষের বাক-স্বাধীনতার পাশাপাশি ধর্মীয় স্বাধীনতাও কেড়ে নিয়েছিল। বিশেষ করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের স্বাধীনতা বলতে কিছু ছিল না। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মধ্য দিয়ে জনগণ ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে যুগান্তকারী রায় দিয়েছে। ফিরে এসেছে ধর্মীয় ও মানুষের বাক-স্বাধীনতা। এখন থেকে নির্বিঘ্নে ধর্ম পালনসহ গণমাধ্যমগুলোও স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে বলে আশা করি।
এমবি
পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে ধর্মীয় কার্যক্রমে নানামুখী বাধা-বিঘ্ন ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। বিশেষ করে ৯০ শতাংশ মুসলমানের এ দেশে সবচেয়ে বেশি আঘাত আসে ইসলাম ধর্মের ওপর। চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার হন আলেম-ওলামা, ইমাম-খতিব ও ধর্মপ্রাণ মানুষ।
সরকারের অনুমতি ছাড়া সারাদেশে ধর্মীয় সভা-সমাবেশ ও ওয়াজ-মাহফিল এমনকি ঘরোয়া পরিবেশেও ধর্মীয় বিষয়ে বৈঠক করার কোনো সুযোগ ছিল না। আবার ধর্মীয় সব অনুষ্ঠানের অনুমতিও মিলত না সহজে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালাতে গিয়ে হামলা-মামলাসহ নানা হয়রানির শিকার হতেন সংশ্লিষ্টরা। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই সেই চিত্র পুরো পাল্টে গেছে। এখন নির্বিঘ্নে সবাই তাদের ধর্মীয় কর্মকাণ্ড চালাতে পারছেন।
রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের মতে, মূলত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে ভারতসহ আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন পেতে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের নাটক সাজাত। তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশকে অসাম্প্রদায়িক বানানোর চেষ্টা করত। তারা ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। সেই ফ্যাসিস্টদের পতনের মধ্য দিয়ে দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতাও ফিরে এসেছে। এই স্বাধীনতা ধরে রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক দিলারা চৌধুরী আমার দেশকে বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিল আমেরিকা ও বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ। শেখ হাসিনাও তার ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য পশ্চিমাদের বোঝানোর চেষ্টা করে যে, আমি ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ একটি জঙ্গি রাষ্ট্র হবে।
মৌলবাদীদের উত্থান হবে। এজন্য জঙ্গি নাটক সাজানো হতো। যেহেতু শেখ হাসিনা সরে গেছে, তাই যে ইসলামাফোবিয়া শুরু হয়েছিল সেটা আর থাকবে না। তাই যারা ইসলামি দল বা ধর্মীয় কর্মকাণ্ড, ওয়াজ মাহফিল করতেন তা নির্বিঘ্নে করতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তাদের নির্বাচনের মাধ্যমেই আসতে হবে। ফ্যাসিস্টরা যা করে একটি শত্রু গ্রুপ তৈরি করে তাদের দেশের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করতে থাকে। গণতান্ত্রিক সরকার এলে সেই শত্রু তৈরি করা লাগবে না। তাই বর্তমান পরিবেশ বহাল রাখতে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা জরুরি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, তারা (আওয়ামী সরকার) ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলত। তারা বলতেন, সব ধর্মীয় মানুষ তাদের ধর্ম নিরপত্তার সঙ্গে পালন করতে পারবেন। কিন্তু আমরা এর ব্যতিক্রম দেখেছি শুধু ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষেত্রে।
অন্য কোনো ধর্মের অনুষ্ঠানে বাধার খবর আমাদের জানা নেই। কিন্তু এ দেশের মানুষ হাজারও সাক্ষী- আওয়ামী লীগাররা জুমার মধ্যে খতিবের মাইক কেড়ে নিয়েছে, ওয়াজ-তাফসির মাহফিলে ইসলামিক স্কলারদের ওপর আঘাত করা হয়েছে। মাইক কেড়ে নিয়ে বক্তাকে টেনে-হিঁচড়ে স্টেজ থেকে নামানো হয়েছে। যখন নিজেরা পেরেছে করেছে, যখন পারেনি পুলিশ দিয়ে করেছে। এ ধরনের ঘটনা হাজার হাজার।
তিনি আরও বলেন, কার্যত তারা মুসলমানদের ওপর একটা ভীতিকর অবস্থা তৈরি করেছিল। ২০১৩-১৪ সালে তারা সরকারি বাহিনী দিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার করা শুরু করে যে এ দেশে জঙ্গিবাদ বেড়ে গেছে। জঙ্গিবাদের লক্ষণ হলোÑ যে বাসায় মহিলারা পর্দা করে, সন্তানরা মাদরাসায় যায় তারাই জঙ্গিবাদের মদতদাতা। পর্দানশীন মা-বোনদের জঙ্গি বানানো হয়েছে। এভাবে সমাজে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশতো সব ধর্মের মানুষের মধ্যে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের একটা দেশ। এখানে যেমন অত্যন্ত উদার ধার্মিক মুসলমানের সংখ্যা অনেক বেশি, অন্যান্য ধর্মের প্রতিও তারা উদার। কিন্তু বিগত সরকার ধর্মকে ব্যবহার করে ধর্ম পালনে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
রাজনৈতিক কারণে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে বিশ্বে ভাবমূর্তি বিনষ্ট করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। এই অবস্থা অব্যাহত রাখা উচিত সব ধর্মের মানুষের জন্য। যেসব অপপ্রচার চলছে তার বিরুদ্ধে সরকার, মিডিয়া ও সব নাগরিকের যথাযথ ভূমিকা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বাংলাদেশ সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। রাজনীতি যদি মতলববাজির হয় যেটা গত সরকারের আমলে হয়েছিল, তারা দেশটাকে একটা সাম্প্রদায়িক চেহারা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। জঙ্গিদের বিকাশ ঘটানোর চেষ্টা করেছিল, যাতে ভারতের বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মহলের সাপোর্ট আনা যায়।
সেই বাধাটা চলে গেছে। এখন সম্প্রীতির বাংলাদেশ আছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রকম উস্কানি সত্ত্বেও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন আছে। আমরা মনে করি, এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখতে হবে এবং বিশ্বাস করি এটা অক্ষুন্ন থাকবে। কারণ বাংলাদেশের মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িকতার চাষ নেই, বিজ নেই।
এবার সাম্প্রদায়িক উস্কানির মধ্যেও বাঙালি জাতি আরেকবার প্রমাণ করেছে যে, সাম্প্রদায়িক উস্কানির মধ্যেও স্থির থাকতে পারে। সমগ্র মানবগোষ্ঠীর প্রতি তাদের ভালোবাসাও অক্ষুন্ন রাখতে পারে। চেতনাই কেবল এটার গ্যারান্টি দিতে পারে। এর সঙ্গে অংশীজন তথা বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন, প্রশাসন সর্বোপরি সরকার যদি ঐক্যে থাকে তাহলে এখানে সাম্প্রদায়িকতার বিজ অঙ্কুরিত হবে না।
যে চেতনার উন্মেষ হয়েছে, আগামীতে যত বড় রাজনৈতিক শক্তিই ক্ষমতায় আসুক না কেন এই চেতনার বাইরে যাওয়া খুব সহজ হবে না। বর্তমানে যেসব দল মাঠে আছে তারা সবাই জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের কথা বলে। সে দলের যে নেতৃত্বই আসুক তারা চাইলেই এই চেতনা সহজে বাদ দিতে পারবে না।
ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ৫ আগস্টের আগে ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের ধর্মীয় কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে করতে দেয়নি। এখন মুসলমান-হিন্দু বা সব ধর্মের মানুষ তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারছেন।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার মানুষের বাক-স্বাধীনতার পাশাপাশি ধর্মীয় স্বাধীনতাও কেড়ে নিয়েছিল। বিশেষ করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের স্বাধীনতা বলতে কিছু ছিল না। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মধ্য দিয়ে জনগণ ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে যুগান্তকারী রায় দিয়েছে। ফিরে এসেছে ধর্মীয় ও মানুষের বাক-স্বাধীনতা। এখন থেকে নির্বিঘ্নে ধর্ম পালনসহ গণমাধ্যমগুলোও স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে বলে আশা করি।
এমবি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে বিভিন্ন মেরূকরণ। এ নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে, কোন দল কার সঙ্গে সমঝোতা বা জোট করে ভোট করবেÑএসব বিষয় নিয়ে আলোচনা ও তৎপরতাও জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মহলে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেনীলের দেশখ্যাত নীলফামারী দীর্ঘদিন শোষণ করেছিল ইংরেজরা। তাদের স্থানীয় নিপীড়ক নীলকরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন উত্তরের এই জেলার চাষিরা। ২০০ বছর পর সেই নিষ্ঠুর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেন আওয়ামী ‘কসাই’খ্যাত আসাদুজ্জামান নূর।
২০ ঘণ্টা আগেআগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় জেলা প্রশাসকদেরই (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার দুজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন ডিসিসহ ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
২ দিন আগেবছরের প্রায় ১০ মাস পার হলেও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ শুরু হয়নি। এমনকি পাঠ্যবইয়ের কনটেন্টও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি; এখনো চলছে পরিবর্তন-পরিমার্জনের কাজ। এছাড়া ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনও মেলেনি এখনো।
২ দিন আগে