পুলিশের দুর্নীতির লাগাম টানতে অবশেষে প্রায় পৌনে ২০০ বছর পর গঠন করা হচ্ছে পুলিশ কমিশন। এর মাধ্যমে একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী পুলিশ কমিশন গঠন করার পথ সুগম হলো। কমিশনের মূল লক্ষ্য হবে পুলিশকে আরো জনবান্ধব, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা।
এটিকে ‘পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এটি পাস হয়।
ওই দিন বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ তথ্য জানান। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন গঠন করার জন্য একটি অধ্যাদেশ পাস হয়েছে। কমিশনের প্রধান থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারক বলেও জানান তিনি।
পুলিশ কমিশন গঠনের উদ্দেশ্য জানিয়ে উপদেষ্টা রিজওয়ান হাসান বলেন, পুলিশকে জনবান্ধব ও জনমুখী করা এর মূল উদ্দেশ্য। এ কমিশন সরকারের সঙ্গে মিলে কাজ করবে। পুলিশ যেন প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করতে পারে, সে ব্যাপারে কী কী করণীয়Ñএ বিষয়ে কমিশন সরকারকে সুপারিশ দেবে। পুলিশ যাতে মানবাধিকার সংবেদনশীল হয়, সে বিষয়ে পুলিশের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকারÑএগুলো তারা চিহ্নিত করবে।
তিনি আরো বলেন, পুলিশিং কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনয়ন, শৃঙ্খলা এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেবে কমিশন।
এদিকে, জুলাই বিপ্লবের পরপর সবচেয়ে শৃঙ্খলাহীন অবস্থা হয়েছিল দেশের পুলিশ বাহিনীর। সারা দেশে থানার অস্ত্র লুট ও পুলিশ সদস্যদের নিষ্ক্রিয়তা বাহিনীটিকে বিপর্যস্ত করেছিল। আওয়ামী লীগের পতনের পর বেশ কয়েকদিন দেশ ছিল পুলিশশূন্য। সশস্ত্র বাহিনী জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। এর পর থেকে এখনো স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেনি এ বাহিনী।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুলিশ বাহিনীর মনোবল এখনো পুরোপুরি ফিরে আসেনি। কিন্তু পুলিশের মনোবলহারা কিছু সদস্য দুর্নীতিতে মনোযোগ হারায়নি। থানাগুলোয় এখনো দুর্নীতি চলছে। অব্যাহত আছে মামলা ও গ্রেপ্তারবাণিজ্য। গত দেড় বছরে সারা দেশে পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে এক হাজার ৩২৮টি দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৭৮ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে সাম্প্রতিক তথ্যউপাত্তে এটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, নানা প্রতিশ্রুতি, উচ্চপর্যায়ের ঘোষণা এবং সীমিত সংস্কার প্রচেষ্টার পরও পুলিশের ভেতরের দুর্নীতির জাল ছিঁড়তে পারছে না সরকার। বরং এ দুর্নীতি আরো কাঠামোগত রূপ নিয়েছে, যা জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার আশাকে প্রতিনিয়ত বিপন্ন করে তুলছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা যায়, পুলিশ বিভাগের সেবা পেতে গিয়ে ঘুস দিতে হয়েছে-এমন ভুক্তভোগীর হার প্রায় ৬২ শতাংশ। অপরদিকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) জরিপে বলা হয়েছে, পুলিশের সেবা নিতে গিয়ে দুর্নীতির মুখোমুখি হয়েছেনÑএমন মানুষের হার ৭৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমেই পুলিশের অভ্যন্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন আইজিপি বাহারুল আলম। গত ৩ ডিসেম্বর বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে পুলিশ সংস্কার অধ্যাদেশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেছেন, পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে দুর্নীতি একটি জটিল সমস্যা। হুট করে এর সমাধান সম্ভব নয়। দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধানের জন্য পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত জরুরি। এ সময় তিনি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের ওপর জোর দেন।
তিনি আরো বলেন, পুলিশের জবাবদিহির ওপর জোর দিতে হবে। সংস্কার বাস্তবায়ন হলেই দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব হবে।
এদিকে, উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভার আগে গত শুক্রবার বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো বিবৃতিতে পুলিশ কমিশনের সংশোধিত খসড়া পাস না করার দাবি তোলা হয়েছিল। বিবৃতিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের আগে এ আইনগুলো (পুলিশ কমিশন ও এনজিওসংক্রান্ত আইন) পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে, যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে। জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
কমিশন গঠন
পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি পুলিশ কমিশন গঠন করা হবে। এ কমিশনের প্রধান থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতি, যিনি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করেছেন। সদস্য হবেন গ্রেড ওয়ানের নিচে নন এমন পদমর্যাদার কোনো সরকারি কর্মকর্তা, গ্রেড ওয়ানের নিচে নন এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, তিনি কর্মরত অথবা অবসরপ্রাপ্ত হতে পারেন। মানবাধিকার এবং সুশাসনের বিষয়ে কাজ করেছেন, অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন।
কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে শূন্যপদে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান তার কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত কমিশনের সার্বক্ষণিক নিযুক্ত জ্যেষ্ঠ সদস্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবে।
কমিশনের সদস্য নিয়োগ ও মেয়াদ
কমিশনের সদস্যরা রাষ্ট্রপতির বাছাই কমিটির সুপারিশক্রমে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। সদস্যরা তাদের যোগদানের তারিখ থেকে পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য স্ব স্ব পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সদস্যরা পুনঃনিয়োগের যোগ্য হবেন না।
কমিশনের সদস্যদের অযোগ্যতা
এমন কোনো ব্যক্তি পুলিশ কমিশনের সদস্য হবেন না, যিনি দেউলিয়া, ঋণখেলাপি বা বাংলাদেশের নাগরিক না হন বা দ্বৈত নাগরিক হন বা তিনি বাংলাদেশের সেবায় বা চাকরিতে একটি লাভজনক পেশায় থাকেন বা চাকুরিরত থাকেন।
বাছাই কমিটি
সদস্যপদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ প্রদানের উদ্দেশ্যে পাঁচ সদস্যের সমন্বয়ে একটি বাছাই কমিটি গঠন করবে সরকার। এর মধ্যে থাকবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতির মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মনোনীত কমিশনের একজন সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান মনোনীত ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড ক্রিমিনাল জাস্টিস বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক বাছাই কমিটিতে থাকবে।
কমিশনের সদস্যদের পদত্যাগ
কোনো সদস্য রাষ্ট্রপতি বরাবর এক মাসের লিখিত নোটিসে পদত্যাগ করতে পারবেন। পদত্যাগপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনবোধে পদত্যাগকারী সদস্যকে তার দায়িত্ব পালনের জন্য অনুরোধ করতে পারবেন।
অপসারণ
কোনো সদস্যের বাংলাদেশের নাগরিত্ব না থাকলে বা শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতা থাকলে বা ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত হলে বা দেউলিয়া বা ঝণখেলাপি ঘোষিত হলে বা কমিশনের সুখ্যাতি নষ্ট করলে অপসারিত হবেন।
কমিশনের কার্যাবলি
পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সততা, দক্ষতা, শৃঙ্খলা, পেশাদারিত্ব ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা। নাগরিকদের মৌলিক মানবাধিকার, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সুরক্ষায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুসারে পুলিশি কার্যক্রম পরিবীক্ষণ।
এছাড়া পুলিশ বাহিনীতে আধুনিক প্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তা, ফরেনসিক ও ডেটা ব্যবস্থাপনা সংযুক্তিকরণে পরিবীক্ষণ ও নির্শেনা দেওয়া। ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাপনার অপরাধ তদন্ত ও প্রসিকিউশন কার্যক্রমে বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও উত্তরণে নির্দেশনা দেওয়া।
আটক, জিজ্ঞাসাবাদ ও বলপ্রয়োগসংক্রান্ত
পুলিশি কার্যক্রমের নিয়মিত নিরীক্ষা পরিচালনা, আইনানুগ কার্যক্রমে কোনো বক্তি বা সত্তা বিধিবহির্ভূত বা অযাচিত প্রভাব বিস্তার করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ বা সুপারিশ করা। জনগণ ও পুলিশের পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির নিমিত্তে গণশুনানি, পরামর্শ সভা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম আয়োজন এবং বার্ষিক প্রতিবেদন প্রণয়ন ও প্রকাশ।
নাগরিকদের অভিযোগ অনুসন্ধান ও নিষ্পত্তি
কোনো নাগরিকের পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগের অনুসন্ধান ব্যবস্থাপনা। অভিযোগের প্রকৃতি ও গুরুত্ব বিবেচনায় শাস্তি দেওয়ার যৌক্তিকতা নিরুপণ এবং তা বাস্তবায়নে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা।
নাগরিকের অভিযোগ অনুসন্ধান কার্যক্রমের ন্যায়সংগত ও সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন, অভিযোগকারীর নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষা নিশ্চিত করা এবং পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে পর্যালোচনা করে দিকনির্দেশনা দেওয়া।
পুলিশ সদস্যদের সংক্ষোভ নিরসন
পুলিশ সদস্যদের সংক্ষোভ নিরসনের কার্যক্রম পরিচালনা করা। বিধিবহির্ভূত প্রভাব, পদোন্নতি-পদায়ন, বিভাগীয় শাস্তি, বৈষম্য, হয়রানি বা অন্যায্য আচরণ ইত্যদি সংক্রান্ত সংক্ষোভ নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ বা সুপারিশ করা।
নিয়োগ, পদোন্নোতিসংক্রান্ত নীতিমালা ও পরামর্শ
পুলিশের নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়নসংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রমিতকরণের বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া। পদোন্নতির ক্ষেত্রে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডে (এসএসবি) পুলিশ মহাপরিদর্শককে এবং বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটিতে (ডিপিসি) অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা এবং দক্ষ, পেশাদার ও প্রভাবমুক্ত পুলিশ বাহিনী গঠনে কৌশলগত দিকনির্দেশনা দেওয়া।
সাংগঠনিক কাঠামোর বিষয়ে সুপারিশ
দেশে আধুনিক ও সেবামুখী পুলিশ বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে আধুনিক সাংগঠনিক কাঠামো, প্রশিক্ষণ, তথ্যপ্রযুক্তি, আবাসন, নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ, লজিস্ট্রিকস ও কলাণমূলক ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া। পুলিশ সদস্যদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়ন, মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা, দক্ষ চিকিৎসক ও মনোবিদের সমন্বয়ে চিকিৎসক পুল গঠনসংক্রান্ত সুপারিশ এবং জননিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট সেমিনার, কর্মশালা ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা।
পুলিশপ্রধান নিয়োগে সুপারিশ
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) পদে নিয়োগের জন্য সততা, মেধা, দক্ষতা, জ্যেষ্ঠতা ও সন্তোষজনক চাকরির ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপির নিম্নপদস্থ নন এমন তিনজন কর্মকর্তার একটি প্যানেল সরকারের কাছে সুপারিশ করা।
আইন, বিধি ও নীতিমালা প্রণয়ন এবং গবেষণা
পুলিশি কার্যক্রমসংক্রান্ত ফৌজদারি আইন, পুলিশ আইন, পুলিশ রেগুলেশনস, পুলিশের বিভিন্ন আইন, বিধি ও প্রবিধান ইত্যাদি প্রণয়ন, সংশোধন বা পরিমার্জনের বিষয় বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ।
বর্তমানে বিট্রিশ আমলের ১৮৬১ সালের পুলিশ আইন ও ১৯৪৩ সালের পুলিশ রেগুলেশনস অব বেঙ্গলের ওপর ভিত্তি করেই বাংলাদেশে পুলিশি কার্যক্রম পারিচালিত হয়।


রাজশাহীর পুলিশ কমিশনারকে আদালতের শোকজ