মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে পর্যটকের ঢল

নাদের আহমদ, বড়লেখা (মৌলভীবাজার)
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯: ০৯

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে এ বছরও মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। ফলে মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক ও জলপ্রপাত এলাকার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, ইজারাদারসহ সবার মুখে হাসি ফুঠেছে।

বিজ্ঞাপন

গত বুধবার বিকালে দেখা গেছে, মৌলভীবাজার-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কের কাঁঠালতলী বাজার থেকে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত পর্যটন কেন্দ্রের সড়কটি ভীষণ ব্যস্ত। বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পিকআপভ্যান ও মোটরসাইকেলে হইহুল্লোড় করে ছুটে চলেছেন প্রকৃতিকন্যা মাধবকুণ্ডের দিকে। জলপ্রপাতের প্রবেশ ফটকের সামনের টিকিট কাউন্টারে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় ছিল। বিভিন্ন পণ্যের দোকান, খাবার হোটেলগুলোতেও পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে। হেঁটে জলপ্রপাতের দিকে এগোতেই দেখা গেল, জলপ্রপাত এলাকায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। হইহুল্লোড়ে মেতে উঠেছেন পর্যটকরা। কেউ কেউ জলপ্রপাতের ঝরনার পানিতে গোসল করছেন। কেউবা ছবি তুলছেন প্রিয়জনের সঙ্গে। জলপ্রপাতের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে কেউ কেউ সেলফি তুলছেন। স্থানীয় আলোকচিত্রীরাও পর্যটকদের ছবি তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

বরিশালের নলছিটি উপজেলা থেকে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে আসেন শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই প্রথম মাধবকুণ্ডে এসেছি। এখানকার পরিবেশ খুবই সুন্দর। অন্য এলাকার চেয়ে সিলেট ও মৌলভীবাজারে অনেক সুন্দর পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের সিলেট, মৌলভীবাজারের এসব পর্যটন স্পট ঘুরে দেখা দরকার। পাশাপাশি পর্যটন স্পটগুলোর প্রাকৃতিক দৃশ্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করলে এ খাত থেকে অনেক রাজস্ব আসবে।

ঢাকা থেকে শিক্ষক রকিফুল ইসলাম এসেছেন পরিবার নিয়ে। তিনি বলেন, ছুটি পেলে বছরে দুই-একবার পরিবার নিয়ে এখানে আসি। খুব ভালো লাগে। প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাই। এবার বাইরে গরম বেশি। তবে জলপ্রপাতের এ জায়গাটা বেশ শীতল লাগছে।

স্থানীয় আলোকচিত্রী তাজউদ্দিন বলেন, মাধবকুণ্ডে আমার মতো আরো ১০ থেকে ১২ জন আলোকচিত্রী আছেন। এবার পর্যটক মোটামুটি এসেছেন। রোজগার ভালোই হচ্ছে। ছবি তোলার পর পর্যটকরা মেমোরি কার্ড নিয়ে যাচ্ছেন। মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের প্রধান ফটকের কাউন্টারে থাকা জলপ্রপাত ইজারাদার কর্তৃপক্ষের কর্মচারী সাজু আহমদ বলেন, এবার পর্যটক কিছুটা কম। ঈদের দিন ২ হাজার ৫০০, পরদিন আনুমানিক ১ হাজার ৫০০ আর বুধবার ২ হাজারের একটু বেশি হতে পারে। তবে ছুটি আরো আছে। তাই পর্যটক সমাগম বাড়বে বলে আশা করছি।

বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের সহযোগী রেঞ্জ কর্মকর্তা রবীন্দ্র কুমার সিংহ বলেন, পর্যটকরা নির্বিঘ্নে মাধবকুণ্ডে আনন্দ উপভোগ করছেন। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য পর্যটন পুলিশ কাজ করছে। পাশাপাশি বন বিভাগ ও ইজারাদার পক্ষের লোকজন সার্বক্ষণিক কাজ করছে।

জরুরি অবস্থা জারি করলেন পেরুর প্রেসিডেন্ট

গুম-খুনে জড়িত ১৫ সেনা কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত। ট্রাইব্যুনালে হাজির। সাবজেলে প্রেরণ

এবার ১ টাকায় গরুর মাংস বিতরণের ঘোষণা সেই এমপি প্রার্থীর

অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বহন করা সেই প্রিজন ভ্যানে কী আছে

অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের নেয়া হয়েছে ক্যান্টনমেন্টের অস্থায়ী কারাগারে

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত