বগুড়ার শেরপুরে জলাবদ্ধতায় ৪শ পরিবারের দুর্ভোগ

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১২: ৪২
আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১২: ৪৮

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শাহ-বন্দেগী ইউনিয়নের রহমতপুর, ফুলতলা ও আন্দিকুমড়া গ্রামের প্রায় ৪০০ পরিবার দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দী জীবন-যাপন করছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়, যা মাসের পর মাস স্থায়ী হয়।

“সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেরপুর শহর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দক্ষিণে ও ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরুয়া বটতলা থেকে মাত্র ৫০০ গজ পশ্চিমে শাহ-বন্দেগী ইউনিয়নের রহমতপুর, ফুলতলা ও আন্দিকুমড়া গ্রাম অবস্থিত। শহরতলি হলেও এখানকার বাসিন্দারা গ্রামের মানুষের চেয়েও অবহেলিত। বছরের প্রায় অর্ধেক সময় তাদের রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে থাকে, যার ফলে পানিবাহিত রোগ তাদের নিত্য সঙ্গী।”

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়দের মতে, অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর ও মিল-চাতাল নির্মাণের কারণে রাস্তাগুলো নিচু হয়ে গেছে। এছাড়া, পানি নিষ্কাশনের জন্য কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

রিকশাচালক আব্দুল মালেক ও গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মজিদের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিরা ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে কোনো পদক্ষেপ নেন না। দীর্ঘদিনের এই জলাবদ্ধতার কারণে পানিবাহিত রোগ ও চর্মরোগও বাড়ছে।

এ বিষয়ে শাহ-বন্দেগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা কাজী আবুল কালাম আজাদ জানান, এই সমস্যা সমাধানের জন্য জরিপ করা হয়েছে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিক খানও খুব দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি আইন মেনে বাড়িঘর নির্মাণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত