আ.লীগ ঠিকাদারের বিলের তদবিরে দুই সমন্বয়ক

জেলা প্রতিনিধি, ঝালকাঠি
প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৫, ২২: ১২

ঝালকাঠিতে আওয়ামী লীগ ঠিকাদারের বিল ছাড়াতে তদবির করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বরিশালের দুই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তারা বিএনপিপন্থি ঠিকাদারদের রোষানলে পড়ে তাদের হেফাজতে নেয় পুলিশি। পরে তাদের মুচলেকা নিয়ে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি এলজিইডি অফিসে।

সমন্বয়করা হলেন-বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম ও বরিশাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. মেহেদী। তাদের হেফাজতে নেওয়ার ঘটনা সংবলিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয়। তবে ঘটনাটিকে চাঁদাবাজি হিসেবে প্রচার করা হয়। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির কোনো অভিযোগ না থাকায় সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক এমপি আমির হোসেন আমুর কম্পিউটার অপারেটর শাওন খানের তিন কোটির টাকার ব্রিজ ও সড়কের কাজের চূড়ান্ত বিল তুলতে যান সমন্বয়ক সিরাজুল ও মেহেদী। ঝালকাঠি এলজিইডি সিনিয়র প্রকৌশলীর রুমে তাদের দেখে আপত্তি জানান বিএনপিপন্থি ঠিকাদাররা। এ সময় তাদের সঙ্গে সমন্বয়কদের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের সদর থানায় নিয়ে যায়।

দুই সমন্বয়ক সাংবাদিকদের বলেন, নলছিটি উপজেলা প্রকৌশলী ইকবাল কবীরের ঘুস ও দুর্নীতির বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু এ সময় উপস্থিত ঠিকাদাররা বিশৃঙ্খলা করে আমাদের পুলিশে ধরিয়ে দেয়।

ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, এলজিইডিতে দুই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ককে স্থানীয় ঠিকাদাররা আটক করেছেন বলে খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে তাদের দুজনকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। তখন এলজিইডি কর্তৃপক্ষ জানায়, সমন্বয়করা তাদের অনৈতিকভাবে হয়রানি করে আসছিলেন। আজ (শনিবার) একটি কাজের অসম্পূর্ণ বিল তুলতে নির্বাহী প্রকৌশলী অফিসে যান তারা। তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ না থাকায় এবং স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতারা তাদের নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

নলছিটি উপজেলা প্রকৌশলী ইকবাল কবীর বলেন, বরিশালের দুই সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর স্টাফ শাওনের পক্ষে তিন কোটি টাকার একটি কাজের চূড়ান্ত বিল ছাড়িয়ে নিতে আসেন। কাজ শেষ না হওয়ায় এবং যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিল না করায় প্রকৃত ঠিকাদারকে নিয়ে আসতে বলি। প্রকৃত ঠিকাদারকে না নিয়ে তারা কিছু লোক এনে বারবার চাপ প্রয়োগ করছিলেন। এতেও রাজি না হওয়ায় একপর্যায়ে তারা বিল ছাড়ানোর জন্য ঘুস দিতে চান। আমি রাজি না হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে আসছেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত