বরিশালের বাবুগঞ্জে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ের পর মিষ্টি বিতরণকালে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে ছাত্রদল নেতা রবিউল ইসলাম নিহতের ঘটনায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮-৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রবিউলের বাবা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আউয়াল হাওলাদারকে ১ নম্বর আসামি করে এ মামলা করেন।
বাবুগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) পলাশ চন্দ্র সরকার মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আমরা হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। কোনো নিরীহ ব্যক্তিকে ব্যক্তিগত আক্রোশবশত হয়রানি করা হবে না বলেও জানান ওসি।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নেই এমন অনেককেই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার পাঁয়তারা চলছে।
বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, যারা প্রকৃতই এ ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা। রাজনৈতিক কারণে কাউকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা মোটেও বরদাস্ত করা হবে না।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নে শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা মিষ্টি বিতরণ করছিলেন। এ সময় ইউনিয়ন ছাত্রদল সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আউয়াল হাওলাদারের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে আউয়াল হাওলাদার ধারালো অস্ত্র দিয়ে রবিউল ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। স্থানীয়রা তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

