২৫ বছরেও সংস্কার হয়নি সড়ক

উপজেলা প্রতিনিধি, (বাবুগঞ্জ) বরিশাল
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৫, ১৭: ০২

দীর্ঘ ২৫ বছরেও সংস্কার হয়নি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ব্রিজ থেকে মুশুরিয়া মাদরাসা পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়ক। ইট সলিং এ রাস্তাটি ভেঙে এখন গর্ত আর খানাখন্দে যেন এক মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এমন ক্ষোভের কথা জানিয়ে ওই রাস্তা কার্পেটিং দ্বারা সংস্কারের দাবিতে উপজেলা পরিষদের সামনে বুধবার দুপুরের পর মানববন্ধন এবং ইউএনওর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে গ্রামবাসী।

বিজ্ঞাপন

মাধবপাশা ইউপি সদস্য রেখা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধন কর্মসূচিতে গ্রামবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন মান্নান হাওলাদার, জাকির তালুকদার, পলাশ হাওলাদার, কবির খান, রিয়াজ হোসেন, ফরিদ মাঝি, সবুজ ফরাজি, এনায়েত খান, সুমন হাওলাদার, জামাল খান, মামুন হাওলাদার, নজরুল খান, এরশাদ ইমাম প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

মানববন্ধন সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের মাধবপাশা ব্রিজের বাদলা খেয়াঘাট থেকে মুশুরিয়া আলীম মাদরাসা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়কটি বিগত ১৯৯৮-৯৯ সালে সর্বশেষ ইট সলিং করা হয়। এরপরে এই রাস্তার আর কোনো সংস্কার হয়নি। রাস্তা ভেঙে গর্ত আর খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, গ্রামীণ সড়কগুলো সাধারণত ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে থাকাকালে মাটি দিয়ে উন্নীত করা হয়। এরপরে ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা উপজেলা পরিষদের প্রকল্পের মাধ্যমে ইট সলিং করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের ক্ষমতা ইট সলিং করা কিংবা ক্ষুদ্র মেরামত পর্যন্ত। এরপরে সেই রাস্তার পরিচিতি (আইডি) নম্বরসহ কার্পেটিংয়ের জন্য চলে যায় এলজিইডির কাছে। এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর মাধ্যমে অনুমোদনের পরে অর্থবরাদ্দ হয়ে কাজ বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদার নিয়োগে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করে এলজিইডি।

এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কাজী এমামুল হক আলীম বলেন, মাধবপাশা ব্রিজ থেকে মুশুরিয়া সিনিয়র মাদরাসা পর্যন্ত প্রায় ৪.৫১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ওই এইচবিবি (ইট সলিং) ভাঙা সড়কটি কার্পেটিং দ্বারা উন্নীতকরণের জন্য বিগত ২০২৪ সালের জুলাই মাসে চাহিদার এক নম্বর তালিকায় রেখে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটি অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করছি আগামী অর্থবছরে এ রাস্তাটি অনুমোদন হবে এবং কাজ বাস্তবায়নের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যাবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত