খানাখন্দে বাড়ছে দুর্ঘটনা, মানুষের দুর্ভোগ চরমে

নিকুঞ্জ বালা পলাশ, বরিশাল
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৯: ২৯
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৯: ৩১

বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে কার্পেটিং উঠে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। ফলে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। পাশাপাশি বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বরিশাল নগরীর কাশিপুর, রহমতপুর, উজিরপুরের সানুহার এবং গৌরনদীর টরকী বাসস্ট্যান্ড এলাকাসহ মহাসড়কের বহু অংশে পিচ ও পাথরের আস্তরণ উঠে গিয়ে কাদা-মাটির সড়কে পরিণত হয়েছে।

পাশাপাশি সড়কের কোথাও কোথাও বিটুমিন (পিচ) উঠে সড়কের মধ্যভাগ উঁচু হয়ে উঠেছে, যা যান চলাচলের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে গৌরনদীর মাহিলাড়া এলাকায় সড়কটির অবস্থা এতটাই করুণ যে, এটিকে দেশের অন্যতম ব্যস্ততম মহাসড়ক বলে চেনার উপায় নেই।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রতিদিন এসব এলাকায় দুর্ঘটনায় কেউ না কেউ আহত হচ্ছেন। কখনো কখনো ঘটছে মৃত্যুর ঘটনাও। যানবাহন গর্তে পড়ে বিকল হয়ে পড়ছে, সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। এতে করে দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকার পথচারী শামীম বলেন, অনেক দিন ধরে এই সড়কের এমন বেহাল অবস্থা। মেরামতের কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না। প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে।

গৌরনদীর পৌর এলাকার বাসিন্দা মো. বেলাল হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। কিন্তু সড়ক এখনো আগের মতো সরু। ফলে অতিরিক্ত চাপ সহ্য করতে না পেরে বিভিন্ন স্থানে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দুর্ঘটনার সংখ্যাও বেড়েছে।

বরিশাল নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব ডা. মিজানুর রহমান বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ এখন সড়ক পথে যাতায়াত করছে বেশি। ফলে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কটি বর্তমানে দেশের অন্যতম ব্যস্ততম সড়কে পরিণত হয়েছে। এত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি ২ লেন থেকে ৪ বা ৬ লেনে উন্নীত করার পদক্ষেপ আগেই নেওয়া উচিত ছিল।

বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে সড়কের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই মুহূর্তে পিচ ও পাথর দিয়ে মেরামত করা সম্ভব নয়। তবে দুর্ঘটনা রোধে প্রাথমিকভাবে ইটের সুরকি ফেলে গর্ত ভরাট করা হচ্ছে। বৃষ্টি থামলে দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত