বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে কুকুয়া হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন ও তার ভাই আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা জানান,‘৫০টির ও বেশি গাছ বিক্রি করেছেন তারা।
খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা গাছ কাটতে নিষেধ করলেও তাতে তারা বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৫ সালে কুকুয়া গ্রামের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করেন। বাঁধের রিভার ও কাইন্টি সাইটে বোর্ডের প্রায় ২০০ ফুট জমি রয়েছে। ২০০০ সালে ওই জমিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড মেহগনি, চাম্বল ও শিশুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করে।
সম্প্রতি সহকারী শিক্ষক জসিম উদ্দিন ও তার ভাই আমিনুল ইসলাম ওই গাছগুলো ৮৫ হাজার টাকায় স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী বেল্লাল মিয়ার কাছে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিন দিন ধরে বেল্লাল মিয়া বাঁধের গাছ কেটে নিচ্ছেন।
বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, কাটা গাছ স্তূপ আকারে রাখা হয়েছে এবং বেল্লাল মিয়া সেগুলো ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছেন।
গাছ ব্যবসায়ী বেল্লাল মিয়া বলেন, জসিম মাস্টার ও তার ভাই আমার কাছে ৮৫ হাজার টাকায় গাছ বিক্রি করেছেন। গাছগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিনা জানি না।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমার রেকর্ড করা জমিতে রোপণকৃত গাছ আমি বিক্রি করেছি। এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো গাছ নেই।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যসহকারী মো. আলমগীর হোসেন বলেন, বোর্ডের জমির গাছ দুই ভাই বিক্রি করেছেন। আমরা বাঁধা দিলেও তারা শোনেননি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান সুজন আমার দেশকে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে রোপিত গাছ কাটা হয়েছে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হান্নান প্রধান আমার দেশকে বলেন, বাঁধের গাছ কেটে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

