আলোচিত গরু কাণ্ডের পর

ইউএনও বিমল চাকমার বিরুদ্ধে কোটি টাকা জালিয়াতির মামলা

উপজেলা প্রতিনিধি, ঈদগাঁও (কক্সবাজার)
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ২৩
আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ২৯

কক্সবাজার জেলার ভূমি অধিগ্রহণ শাখার অধিগ্রহণের টাকা অবৈধভাবে উত্তোলনে সহায়তার অভিযোগে ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিমল চাকমার বিরুদ্ধে কোটি টাকার জালিয়াতি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কক্সবাজারের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে ১২ মার্চ THE CRIMINAL LAW AMENDMENT ACT, ১৯৫৮ এর ৮ ধারা অনুযায়ী মামলাটি দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষের প্রতিনিধি মোহাম্মদ মঞ্জুর আলম।

বিজ্ঞাপন

তিনি কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়া এলাকার মৃত হাজী কালা মিয়ার পুত্র।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় কর্মরত অবস্থায় ইউএনও বিমল চাকমার নেতৃত্বে একটি চক্র আদালতের আদেশ অমান্য করে দালালদের সহায়তায় অধিগ্রহণের টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলনে সহযোগিতা করেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রায় দু’কোটি টাকার চেক ইস্যু ও উত্তোলনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতারণা ও অনিয়মের আশ্রয় নেন, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ আর্থিকভাবে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ে।

মামলায় ইউএনও বিমল চাকমা (৩৮) ছাড়াও ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার শিশির স্বপণ চাকমা (৪৫), অফিস সহকারী মোহাম্মদ ইমরান (২৭), ইয়াছিন আরফাতসহ মোট ৩৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলাটি কক্সবাজারের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কক্সবাজার কার্যালয়কে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোবারক সাঈদ বলেন, ‘মামলাটি যেহেতু স্পেশাল কোর্টে আমলে নেয়া হয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তা চাইলে প্রধান আসামি বিমল চাকমাকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত কার্যক্রম চালাতে পারেন।’

বিষয়টি নিয়ে ইউএনও বিমল চাকমার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, এর আগেও ইউএনও বিমল চাকমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে রয়েছে জব্দকৃত কোটি টাকার গরু ও মহিষ ছাড়ের বিনিময়ে অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ, বালু মহাল ইজারা না দিয়ে সরকারি রাজস্ব বঞ্চিত করা এবং সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ। এসব অভিযোগ বর্তমানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম), কক্সবাজারের তদন্তাধীন রয়েছে।

মামলার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোবারক সাঈদ বলেন, উক্ত মামলাটি যেহেতু স্পেশাল আদালত আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে দুর্নীতি দমন কমিশন কক্সবাজারকে আদেশ দিয়েছেন।

তিনি আরো জানান, ইতঃপূর্বে এ ইউএনও'র বিরুদ্ধে জব্দকৃত কোটি টাকার গরু-মহিষ ছাড়ের বিনিময়ে লাখো টাকার অনৈতিক লেনদেন, বালি মহাল ইজারা না দিয়ে সরকারকে রাজস্ব বঞ্চিত করে অর্থ লোপাট সহ তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ এখনো এডিএম কক্সবাজার বরাবর তদন্তাধীন।

একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এতসব নৈতিক স্খলন জনিত অভিযোগ থাকার পরও তিনি কীভাবে এখনো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বহাল আছেন তা নিয়ে সর্বমহলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।

৬ মে কোরবানির ঈদের আগমুহূর্তে অবৈধ বার্মিজ গরু পাচারের অভিযোগে ঈদগাঁও গরু বাজার থেকে ১৫৫টি গরু জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন। পরে বৈধ কাগজ দেখানো সত্ত্বেও ১৪টি গরু কাগজবিহীন থাকা অবস্থায়ও সব পশু ছেড়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

এ ঘটনায়ও ইউএনও বিমল চাকমার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, যা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস কে ফারুকী।

সাব-জেলে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা, সরকারের কাছে যে আহ্বান জানালেন ব্যারিস্টার আরমান

অসদাচারণের দায়ে টঙ্গী পাইলট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে শোকজ

জরুরি অবস্থা জারি করলেন পেরুর প্রেসিডেন্ট

গুম-খুনে জড়িত ১৫ সেনা কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত। ট্রাইব্যুনালে হাজির। সাবজেলে প্রেরণ

এবার ১ টাকায় গরুর মাংস বিতরণের ঘোষণা সেই এমপি প্রার্থীর

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত