কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে টাকা নিয়ে রেজিষ্ট্রেশন না করায় জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা দিতে পারেনি ১১ ছাত্রী। চৌদ্দগ্রাম ফয়েজুন্নেছা মহিলা মাদরাসার সুপার মাওলানা আহসান উল্যাহর গাফিলতিতে পরীক্ষা বঞ্চিত হয় ছাত্রীরা।
মঙ্গলবার সুপারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বৃত্তির জন্য অতিরিক্ত প্রাইভেটের টাকা ফেরত দেয়ার দাবিতে ছাত্রীরা মাদরাসায় মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে। পরীক্ষা দিতে পারেনি মাদরাসা ছাত্রী তাসলিমা, মাইমুন, মরিয়ম, আকলিমা, ফারিয়া, আমেনা, সুমাইয়া, তানজুমা, আয়েশা, তাহসিন ও উম্মে আয়মনসহ তাদের অভিভাবকরা।
জানা গেছে, ২০২৫ সালের শুরুতেই জুনিয়র দাখিল বৃত্তি পরীক্ষার জন্য ১১ ছাত্রীকে অতিরিক্ত প্রাইভেট পড়ানো হয়। এজন্য তাদের থেকে অতিরিক্ত টাকা ও রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত টাকা আদায় করে মাদরাসা সুপার মাওলানা আহসান উল্যাহ। গত ২৮ ডিসেম্বর রোববার বৃত্তি পরীক্ষার দিন ধার্য থাকলেও দুইদিন আগে ছাত্রীরা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে মাদরাসা অফিসে গেলে সুপার মাওলানা আহসান উল্যাহ জানায়, রেজিষ্ট্রেশন ভুল হওয়ায় প্রবেশ পত্র আসেনি। তোমরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। ফলে রেজিষ্ট্রেশন ও ফরম ফিলাপ করে সারা বছর পরীক্ষায় প্রস্তুতি নেওয়া ১১ ছাত্রী পরীক্ষা দিতে পারেনি। তাৎক্ষণিক তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। খবর পেয়ে ছাত্রীদের অভিভাবকরা সুপারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেনি।
চৌদ্দগ্রাম ফয়েজুন্নেছা মহিলা মাদরাসার সুপার মাওলানা আহসান উল্যাহ মঙ্গলবার রাতে বলেন, ‘মাদরাসায় কেরানী নাই। একজন নতুন শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। কিন্তু রেজিষ্ট্রেশনে ভুল হওয়ায় আমার মেয়েসহ ছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে পারেনি। পরীক্ষার আগে বিষয়টি জানতে পেরে আমি বোর্ড চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেও লাভ হয়নি’।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

