ট্রাইব্যুনালের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ

উপজেলা প্রতিনিধি (পেকুয়া) কক্সবাজার

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দ্বিতীয় শহীদ, কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় উপজেলা পেকুয়ার বাসিন্দা ও ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরামের বাবা শফিউল আলম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। একই সাথে তিনি দাবি করেছেন, তখনই পুরোপুরি সন্তুষ্ট হবেন, যখন ফাঁসির রায় কার্যকর হবে।
তিনি দ্রুততর সময়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবি জানান।
তিনি সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকালে ফাঁসির রায় নিয়ে তাৎক্ষনিক এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি সন্তুষ্ট, তবে আমি সন্তুষ্ট হবো কখন, আজকে রায় হয়েছে, যে দিন কার্যকর হবে ওইদিনই সন্তুষ্ট হবো।
তাঁর ভাষ্যমতে, রায়ের জায়গায় রায় থাকলে সন্তুষ্ট হয়ে লাভটা কী! রায় কার্যকর না হলে রায় নিয়ে কোন লাভ নাই। আমরা আশা করবো দ্রুত রায়টা কার্যকর হবে।
শফিউল আলম বলেন, আমার যতটুকু ভালো লাগার কথা অতটুকু লাগতেছে না। আমরা শুধু দেখতেছি যে, শুধু জামায়াতের বেলায় রায় কার্যকর হয়েছে ফাঁসি গুলার। আর কারো ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে?
তিনি বলেন, আমি সকল শহীদের পক্ষ থেকে বলতেছি, দ্রুত রায়টা কার্যকর হলে আমরা কিছুটা হলেও খুশি হবো। আমরা কিছুটা হলেও ছেলের, কেউ ভাই হারাইছে, কেউ ছেলে হারাইছে, একটু হলেও আমরা হালকা হবো।
তাঁর মতে, যে হারায় সে বুঝে, হারানোর বেদনাটা কী! আমার ছেলের কথা মনে পড়লে আমার হৃদয়টা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। আমি কথাও বলতে পারি না। আমি অনেক অনেক প্রোগ্রামে দাওয়াত পেলে, ছেলের ছবি সামনে দেখলে আমি কথা বলতে পারি না। এমনিতে আমি কথা বলতে পারি, ছেলের ছবিটা দেখলে আর কথা বলতে পারি না, বন্ধ।
তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি বাইরে ছিলাম, সৌদি আরবে অবস্থান করতাম। আমার ইনকাম ভালো ছিল না। ছেলে আমাকে আশা দিতো, “একটা বছর আব্বু ধৈর্য ধরো, ইনশাআল্লাহ, তোমার আর টাকা কামাইতে হবে না, ইনশাআল্লাহ, আমি টাকা কামাবো”। আমাকে আশ^াস দিতো।
তিনি মনে করেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা যে প্রত্যাশা নিয়ে রাস্তায় নামছিল, সেই প্রত্যাশা কখনো পূরণ হবে না। যে কোন সরকার আসলে, আমার মনে হয় না আশা পূরণ হবে।
ওয়াসিম আকরামের পিতা শফিউল আলম আরও বলেন, আমাদের ছেলেরা যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন গড়ছিল, আমরা বৈষম্যবিরোধী হতে চাই, বৈষম্য যুক্ত করতে চাই না। স্বজনপ্রীতি আমরা দেখতে চাই না। ওরা ন্যায্য অধিকারের জন্য রাস্তায় নামছিল, আমরা শুধু ওই ন্যায্য অধিকারটা চাই। কোন বৈষম্য চাই না।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৫ অভিযোগের বিপরীতে ৩ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হয়। ওই রায়ে গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। একই সাথে সবকিছু স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়া বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) আবদুল্লাহ আল মামুনকে ৫ বছরের সাজা দেয়া হয়।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দ্বিতীয় শহীদ, কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় উপজেলা পেকুয়ার বাসিন্দা ও ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরামের বাবা শফিউল আলম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। একই সাথে তিনি দাবি করেছেন, তখনই পুরোপুরি সন্তুষ্ট হবেন, যখন ফাঁসির রায় কার্যকর হবে।
তিনি দ্রুততর সময়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবি জানান।
তিনি সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকালে ফাঁসির রায় নিয়ে তাৎক্ষনিক এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি সন্তুষ্ট, তবে আমি সন্তুষ্ট হবো কখন, আজকে রায় হয়েছে, যে দিন কার্যকর হবে ওইদিনই সন্তুষ্ট হবো।
তাঁর ভাষ্যমতে, রায়ের জায়গায় রায় থাকলে সন্তুষ্ট হয়ে লাভটা কী! রায় কার্যকর না হলে রায় নিয়ে কোন লাভ নাই। আমরা আশা করবো দ্রুত রায়টা কার্যকর হবে।
শফিউল আলম বলেন, আমার যতটুকু ভালো লাগার কথা অতটুকু লাগতেছে না। আমরা শুধু দেখতেছি যে, শুধু জামায়াতের বেলায় রায় কার্যকর হয়েছে ফাঁসি গুলার। আর কারো ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে?
তিনি বলেন, আমি সকল শহীদের পক্ষ থেকে বলতেছি, দ্রুত রায়টা কার্যকর হলে আমরা কিছুটা হলেও খুশি হবো। আমরা কিছুটা হলেও ছেলের, কেউ ভাই হারাইছে, কেউ ছেলে হারাইছে, একটু হলেও আমরা হালকা হবো।
তাঁর মতে, যে হারায় সে বুঝে, হারানোর বেদনাটা কী! আমার ছেলের কথা মনে পড়লে আমার হৃদয়টা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। আমি কথাও বলতে পারি না। আমি অনেক অনেক প্রোগ্রামে দাওয়াত পেলে, ছেলের ছবি সামনে দেখলে আমি কথা বলতে পারি না। এমনিতে আমি কথা বলতে পারি, ছেলের ছবিটা দেখলে আর কথা বলতে পারি না, বন্ধ।
তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি বাইরে ছিলাম, সৌদি আরবে অবস্থান করতাম। আমার ইনকাম ভালো ছিল না। ছেলে আমাকে আশা দিতো, “একটা বছর আব্বু ধৈর্য ধরো, ইনশাআল্লাহ, তোমার আর টাকা কামাইতে হবে না, ইনশাআল্লাহ, আমি টাকা কামাবো”। আমাকে আশ^াস দিতো।
তিনি মনে করেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা যে প্রত্যাশা নিয়ে রাস্তায় নামছিল, সেই প্রত্যাশা কখনো পূরণ হবে না। যে কোন সরকার আসলে, আমার মনে হয় না আশা পূরণ হবে।
ওয়াসিম আকরামের পিতা শফিউল আলম আরও বলেন, আমাদের ছেলেরা যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন গড়ছিল, আমরা বৈষম্যবিরোধী হতে চাই, বৈষম্য যুক্ত করতে চাই না। স্বজনপ্রীতি আমরা দেখতে চাই না। ওরা ন্যায্য অধিকারের জন্য রাস্তায় নামছিল, আমরা শুধু ওই ন্যায্য অধিকারটা চাই। কোন বৈষম্য চাই না।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৫ অভিযোগের বিপরীতে ৩ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হয়। ওই রায়ে গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। একই সাথে সবকিছু স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়া বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) আবদুল্লাহ আল মামুনকে ৫ বছরের সাজা দেয়া হয়।

জুলাই গণহত্যার প্রধান আসামি ফ্যাসিস্ট হাসিনার ফাঁসির রায়ে খুশি কক্সবাজারের প্রথম শহীদ আহসান হাবীবের পরিবার। এ বিচারের মাধ্যমে আজ সত্যের জয় হয়েছে। শুধু ফাঁসির রায় হলেই হবে না। ভারতে পলাতক খুনি হাসিনাকে ধরে এনে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই রায় কার্যকর করতে হবে।
২৭ মিনিট আগে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড রায় ঘোষণার পর ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আনন্দ মিছিল করেছে উপজেলা বিএনপি।
৪০ মিনিট আগে
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর বাগেরহাট সদর, রামপাল,কচুয়া, মোড়েলগঞ্জে আনন্দ মিছিল হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে উত্তেজনা ও উচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনে আহত, নিহত ও নির্যাতনের শিকার পরিবারের সদস্যরা এ রায়কে স্বাগত
১ ঘণ্টা আগে