কক্সবাজারের পেকুয়ায় মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের বিনিময়ে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপপরিদর্শক (এসআই) মাশুকুর রহমানের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী মোক্তার হোসেন (পশ্চিমকুল, মগনামা ইউনিয়ন) অভিযোগ করেন—তিনি চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিন লাখ টাকার প্রতারণা মামলা করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পেকুয়া থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিলে দায়িত্ব পান এসআই মাশুকুর রহমান।
অভিযোগ অনুযায়ী, এসআই মাশুকুর মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরে নিরুপায় হয়ে মোক্তার হোসেন দু’কিস্তিতে মোট নয় হাজার টাকা দেন এবং বাকি ১১ হাজার টাকা প্রতিবেদনের সময় দেয়ার আশ্বাস দেন।
দারোগা মাশুকুর রহমান ঘুষ নেয়ার কিছুদিন পর ভুক্তভোগীকে ডেকে এনে তিন লাখ টাকার মধ্যে এক লাখ টাকা দিয়ে বিবাদীর সাথে আপোষ হওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। এতে মোক্তার হোসেন রাজি না হলে তার বিপক্ষে প্রতিবেদন দিবে বলে হুমকি ধমকি দেন। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শনিবার সন্ধ্যায় পেকুয়া থানায় সশরীরে হাজির হয়ে এসআই মাশুকুর রহমানের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে ওসির রুমে এসআই মাশুকুর রহমানহ আরো কয়েকজন পুলিশ সদস্য মিলে বাদীকে নানান কথা বললে হট্টগোল বাধে। পরে বাদী ওসিকে বিষয়টি দেখার অনুরোধ জানিয়ে ওসির কক্ষ ত্যাগ করেন।
অভিযুক্ত এসআই মাশুকুর রহমান ঘুষ নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তিনি ইতোমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠিয়েছেন।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল মোস্তাফা বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ এখনো পাইনি। মৌখিকভাবে জানতে পেরে খোঁজ নিয়েছি, অভিযোগ সত্য নয় বলে জেনেছি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

