চট্টগ্রামে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি

ওসমান জাহাঙ্গীর, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৫, ০৬: ৩৬

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম নগরের হাটগুলোতে পশুর সরবরাহ বাড়লেও এখনো কাঙ্ক্ষিতসংখ্যক ক্রেতা দেখা যাচ্ছে না। নগরের ১৩টি হাটে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেশি, তবে বড় গরুর বিক্রি কিছুটা ধীরগতিতে চলছে। বিক্রেতারা আশা করছেন, আজ বৃহস্পতিবার ক্রেতাদের ভিড় বাড়বে এবং হাটে বেচাকেনা আরো জমে উঠবে।

পতেঙ্গা আউটার রিং রোড এলাকায় আলমগীর সাহেবের বালুর মাঠ গরুরহাট ঘুরে দেখা গেছে, ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার মধ্যে ছোট ও মাঝারি গরুর বেচাকেনা বেশি হচ্ছে। বড় গরু বিক্রি হচ্ছে দুই লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকায়। হাটটিতে প্রায় দুই হাজারের বেশি গরু রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

হাটের ইজারাদার মো. আলমগীর বলেন, আমাদের হাটে গরুর হাসিল ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে ক্রেতার সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। যথেষ্ট গরু রয়েছে। ক্রেতারাও ন্যায্যমূল্যে গরু কেনার সুযোগ পাচ্ছেন।

সাগরিকা গরুর হাটেও একই চিত্র দেখা গেছে। বড় গরুর তুলনায় ছোট ও মাঝারি গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী এই হাটে নগরের বিভিন্ন প্রান্ত ও আশপাশের জেলা থেকেও গরু কিনতে আসছেন ক্রেতারা।

রাঙামাটি থেকে ১২০টি গরু নিয়ে এসেছেন শহীদ হোসেন। তিনি জানান, গত দুই দিনে ৫০টি গরু বিক্রি করেছেন, যার দাম ৭০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে। তবে ২৬টি বড় গরুর মধ্যে মাত্র একটি বিক্রি হয়েছে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকায়। তার মতে, বড় গরুর চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম।

তিনটি হাটের বেশ কয়েকজন বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই দিনে বেচাকেনা তেমন হয়নি। গতকাল বুধবার থেকে কিছুটা গতি এসেছে বেচাকেনায়। তবে বিক্রেতাদের আশঙ্কা, বড় গরুর বিক্রি হয়তো গত বছরের মতো হবে না।

চসিকের তথ্যমতে, নগরীর ১৩টি হাটের মধ্যে স্থায়ী তিনটি হাট সাগরিকা, বিবিরহাট ও পোস্তারপাড়ে। বাকি ১০টি অস্থায়ী হাট বসেছে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে। এর মধ্যে রয়েছে— নূর নগর হাউজিং এস্টেট মাঠ, সাইলো রোডের পাশে টিএসপি মাঠ, সিডিএ বালুর মাঠ, মুনিরনগর রিংরোডসংলগ্ন খালি জায়গা, গলাচিপাপাড়া মাঠ, আলমগীর সাহেবের মাঠ, চেয়ারম্যান মাঠ, বড়পোল খালপাড়, সল্টগোলা রেলক্রসিং মাঠ এবং রেজাউল আমিন মাঠ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত