কমলনগরে চার মাসে বিএনপির শতাধিক সভা-সমাবেশ

উপজেলা প্রতিনিধি, কমলনগর (লক্ষ্মীপুর)
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩: ৪৯
আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩: ৫৬

লক্ষ্মীপুর-৪ রামগতি-কমলনগর আসনে বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখন উজ্জীবিত। উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দল গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্দোলন কর্মসূচির চাপ কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে মামলা-হামলা। এ কারণে একটু স্বস্তিতে থাকলেও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ মনে করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। আর তাই দল গোছাতে সভা সমাবেশ করা হচ্ছে প্রায় প্রতিদিন।

বিজ্ঞাপন

৫ আগস্টের পর কমলনগর-রামগতিতে প্রায় শতাধিক সভা সমাবেশ করেছে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন। প্রতিটি সভা সমাবেশে ধানের শীষের প্রচারণা চালানো হচ্ছে। রামগতি উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবং কমলনগর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৮১টি ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক ও মহিলা সমাবেশ করেছে দলটি।

মঙ্গলবার উপজেলার সাহেবেরহাট ইউনিয়নের ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলটির তৃণমূল এখন বেশ চাঙা। ওয়াজ মাহফিলেও অংশ নিচ্ছেন নেতারা। এসব কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহশিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, লক্ষ্মীপুর-৪ কমলনগর-রামগতি আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান।

এসব সভা সমাবেশে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম কাদের, যুগ্ম আহ্বায়ক এম. দিদার হোসেন, সদস্য সচিব নুরুল হুদা চৌধুরী, উপজেলা যুবদল নেতা ইউছুফ পাটোয়ারী, আবু সাঈদ দোলন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাজ্জাদুর রহমান সাজু ও সদস্য সচিব জাফর আহমেদ ভুইয়া বক্তব্য রাখেন।

এ আসনে দুইবার ধানের শীষ প্রতীকে এমপি হয়েছিলেন এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান। ২০১৪ সালের পর এ আসনটি আওয়ামী লীগ দখলে নেয়। এরপর তারা জনগণ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন চালায়। এ আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজানকে সামনে রেখে নেতাকর্মীরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

থানা সূত্রে জানা যায়, ২০০১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আশরাফ উদ্দিন নিজানের সময়ে কমলনগর থানায় কোনো রাজনৈতিক মামলা ছিল না। ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আবদুল্লাহ আল মামুন এমপি হওয়ার পর কমলনগর থানায় ব্যাপক রাজনৈতিক মামলা হয়। এসব মামলায় প্রায় ৯ হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আব্দুল্লাহ আল মামুন আত্মগোপনে চলে গেছেন।

কমলনগর উপজেলা যুবদল নেতা আবু সাঈদ দোলন বলেন, ১৬ বছর মামলা হামলায় আমাদের নেতাকর্মীরা জর্জরিত। বর্তমানে আশরাফ উদ্দিন নিজানের নেতৃত্বে দলকে শক্তিশালী করতে কাজ করছি।

কমলনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম দিদার হোসেন বলেন, এখন প্রতিদিন সভা সমাবেশ করে দলকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি। ওয়ার্ডভিক্তিক উঠান বৈঠক করা হচ্ছে।

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নুরুল হুদা চৌধুরী বলেন, এ আসনটি বিএনপির ঘাঁটি। এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান নেতাকর্মীদের আস্থা ও ভরসার জায়গা। তাকে সামনে রেখে আমরা দল গোছাচ্ছি।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম কাদের বলেন, প্রতিদিন দলের উঠান বৈঠক ও সভা সমাবেশ হচ্ছে। নিজান সাহেবকে সামনে রেখে দল গোছাতে কাজ করছি। বিএনপি এখন অনেক শক্তিশালী ও সংগঠিত।

লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সাবেক এমপি আশ্রাফ উদ্দিন নিজান বলেন, প্রতিনিয়ত সভা সমাবেশ করছি। নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। আমাদের নেতা তারেক রহমানের ৩১ দফা নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে যাচ্ছি। ধানের শীষের পক্ষে দাওয়াত দিচ্ছে। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত